মহাবিশ্ব: এক সৃষ্টিগাথা

মহাবিশ্ব: এক সৃষ্টিগাথা

লেখক:

প্রফেসর ডাক্তার প্রনব কুমার ভট্টাচার্য। এম. ডি (কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়,): এফ আই সি পি (প্যাথলজি)

ভূতপূর্ব অধ্যক্ষ, কৃষ্ণনগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স ,পালপাড়া মোড় , কৃষ্ণনগর, নদীয়া জেলা , পশ্চিম বঙ্গ ।

পূর্বতন অধ্যক্ষ জে. এম. এন মেডিক্যাল কলেজে চাকদহ। নদীয়া জেলা। পশ্চিম বঙ্গ

পূর্বতন প্রফেসর এবং প্রধান প্যাথলজি বিভাগ পশ্চিম বঙ্গ সরকারের মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিস ক্যাডারের

কবিতার রচনা তারিখ-:.১১.০৪.২০২৫ বিকেল ১টা ৫২

এডিট করা -: হয়নি

কপিরাইট-: সম্পূর্ণ ভাবেই প্রফেসর ডাঃ প্রণব কুমার ভট্টাচার্যের

Belongs primarily to Prof. Dr. Pranab Kumar Bhattacharya under strict Copyright acts and laws of Intellectual Property Rights of World Intellectual Property Rights organisations ( WIPO) , RDF copyright rights acts and laws and PIP copyright acts of USA 2012 where Prof Dr Pranab Kumar Bhattacharya is a registered member . Please Don't try ever to infringe the copyright of the manuscript to protect yourself from criminal offences suit file in court of law in any places of india and by civil law for compensation in few millions US dollar or in pounds or in Euro in any court of laws

রেসিডেন্স এর ঠিকানা-:

মহামায়া এপার্টমেন্ট। মহামায়াতজীবন ও মৃত্যুর মাঝেলা ১৫৪ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোড,পোস্ট অফিস -গড়িয়া কোলকাতা ৮৪,

E mail [e-mail]

মহাবিশ্ব: এক সৃষ্টিগাথা

(সম্পূর্ণ ভাবেই নিজস্ব কাব্যকীর্তি)

ব্ল্যাকহোলের গভীরে আঁধার ছিল জমাট,

নিস্তব্ধতা, নীরবতা, যেন রাত্রির পাঠ।

সূর্য, চন্দ্র, তারা কিছুই ছিল না যেথায়,

একা ছিল এই বিশ্ব, শূন্যতার ব্যথায়।

তারপর হল এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণ,

আলোড়ন তুলল, ভাঙল আবরণ।

শূন্য সময় শুন্য ভর থেকে জন্ম নিল শক্তি অফুরান,

মহাবিশ্বের যাত্রা শুরু, যেন জীবনের গান।

হিগস কণা, গ্যাস মেঘে শুরু হল খেলা,

মাধ্যাকর্ষণে বাঁধল তাদের একেলা।

ঘূর্ণি হয়ে জন্ম নিল সব নক্ষত্রের দল,

আলোয় ঝলমল এই মহাকাশ বিরল।

গ্রহাণু, উপগ্রহ, ধূমকেতু কত,

সাজিয়ে তুলল সব আপন মতো।

সৃষ্টি হলো নীহারিকা, ছায়াপথের সারি,

অসীম আকাশে যেন তারাদের বাড়ি।

সেই বিস্ফোরণের রেশ আজও বয়,

ব্রহ্মান্ডের সীমানা নাকি বাড়ছে নিশ্চয়।

সৃষ্টি, ধ্বংস, রূপান্তর কত শত,

রহস্যে ঘেরা এই বিশ্ব অবিরত।

তপ্ত প্লাজমা ঘুরে ঘুরে গড়ল এক তারা,

প্রকাশ করল তাপ, আলো, জীবন ধারা।

আকাশেও ছড়িয়ে পড়ল জ্যোতির্বিজ্ঞান,

প্রতিটি কণায় যেন গাঁথা ইতিহাসের গান।

নতুন তারার গ্রহে সম্ভাবনা খোঁজে এই মন,

কোথাও কি আর আছে প্রাণের আলোড়ন?

হিগস ,রূপক, কোয়ার্ক, লেপ্টন, নিউট্রিনোর যত খেলা,

পদার্থবিদ্যার ভিতরের রহস্যের মেলা।

ডার্ক ম্যাটার, ডার্ক এনার্জির ছায়া,

নজর এড়িয়ে যায় আজও তাদের মায়া।

তবুও চলেছে গবেষণার ধারাবাহিক ধ্বনি,

জানার আগুন জ্বলে আজও প্রতিদিন, প্রতি ক্ষণ।

মহাকর্ষ, স্থানকাল, আপেক্ষিকতা – গভীর চিন্তন,

আইনস্টাইনের সূত্রে উঠে আসে নতুন রূপায়ন।

ব্ল্যাক হোলের গভীরে নাকি হারিয়ে যায় আলো,

কিন্তু হকিং-এর ভাষায় তাও বয় এক গল্প ভালো।

মহাজাগতিক কণায় কি লুকানো ছিল আদিম বীজ?

রূপকের কনারা কি বলবে কেন আছে ভরহীন টাকিওন

অন্তরীক্ষ ছুঁতে চায় মানুষ একা নয়, দলে,

চাঁদ, মঙ্গল, তারও পরে চোখ টানে দূর গলে।

চেয়ে থাকি আমি অবাক নয়নে,

ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টি গাঁথা বাজে মনে।

অজানাকে জানার এই অদম্য আশা,

মহাবিশ্বের পথে ভরসা তাই তোমার ভালোবাসা।

উপসংহার

“মহাবিশ্ব: এক সৃষ্টিগাথা” কবিতাটি লেখকের কেবল একটি কাব্যকীর্তি নয়, এটি এক অন্তর্মুখী অন্বেষণ; বিজ্ঞান, দর্শন ও কাব্যসাহিত্যের এক অপূর্ব সংলাপ। এর মাধ্যমে কবি সেই শাশ্বত বাণীই উচ্চারণ করেন— জ্ঞান 

ও ভালোবাসা, বিজ্ঞান ও দর্শন একত্রে চললে তবেই মানুষের মহাকাশজয় পূর্ণতা পায়।