মাতৃরূপী মহাকাশ
মাতৃরূপী মহাকাশ
শয়তানদের সংহার করে,
মহাবিশ্বকে রক্ষা করতে;
আগমনীর জন্ম হয়েছে অনেক দিন আগেই,
মনুষ্য রূপে এখনোও সে....
পাইনি তার আসল অস্তিত্বের পরিচয়;
বছরের পর বছর কেটেছে অপেক্ষায়.....
কবে পাবে সে তার অস্তিত্বের পরিচয়?
এখনো মানেনি হার, তার বিশ্বাস
সময় আসন্ন...
আগামী বছরে পরিবর্তন হবে তার...
পাবে সে আসল রূপ....জানবে তার
আসল পরিচয়......কি তার জন্ম উদ্দেশ্য...
সেদিন দাড়াবে আগমনি হুঙ্কার দিয়ে
কঠিন সাহসে তার ... কাঁপবে এ ভু-তল।
কাঁপবে হৃদয় শয়তানেদের
ভাববে, সত্যিই কি তবে
নবজন্ম হল শক্তি রূপিনীর?
না না...এ যে শক্তি রূপিনী নয়
এ যে তাঁর কন্যা আগমনী,
হিংস্র - অস্ত্রধারী.. মহাকাশ-ব্রহ্মান্ডের অংশ সে।
তারই চর্মচক্ষুর সামনে
আকার নিয়েছে এ মহা-ব্রহ্মান্ড .......।
আজ নিজের অস্তিত্বের পরিচয় পেয়েছে আগমনী....উন্মোচিত হয়েছে তার ব্রহ্মাণ্ড চক্ষু ..
জেনেছে তার জন্মের উদ্দেশ্য;
সর্বশক্তি দিয়ে সেজে উঠেছে
হুঙ্কারে হুঙ্কারে বুঝিয়ে দিচ্ছে ......
অত্যাচারের পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়েছে
বিনাশ হবে শয়তানেদের।
ভূতল কাঁপিয়ে শঙ্খনাদে এগিয়ে চলেছে
রাগে অগ্নিবর্ণা ..... আগমনী।
শুরু হয়েছে সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ, ঝড়ঝঞ্ঝা...
ভুমিকম্পে ফেটে চচ্চির হয়ে ভেঙে পড়ছে
পৃথিবীর ভুমি।
আকাশ চিরে বিদ্যুতের চমকানি আর বজ্রপাত ..
মহা উল্লাসে যেন,
আগমনীকে স্বাগত জানাচ্ছে .
শয়তানদের ধ্বংস করে.....
নতুন পবিত্র পৃথিবীর সূচনা করার জন্য।
অত্যাচারী মানুষরূপী শয়তানদের শাস্তি দিয়ে
চিরতরে নাশ করতেই জন্ম হয়েছে
মহাকাশকন্যা আগমনীর...।
অস্ত্র হাতে শয়তান নাশের যুদ্ধে
অবতীর্ণ হয়েছে স্বয়ং সম্পূর্ণা আগমনী....,
ত্রাহি ত্রাহি চিৎকারে শয়তানরা... চালিয়ে যাচ্ছে বাঁচার আপ্রাণ লড়াই.....
আগমনী ক্ষমা করেনা শয়তান পাপীদের....
হিংস্র হাতের অস্ত্রে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করছে প্রত্যেকটা শয়তানের দেহ .....অবশেষে
দেহের অবশিষ্টাংশ টুকরোগুলোকে ছুঁড়ে
ফেলে দিচ্ছে পৃথিবীর বাইরে .....,
মহাকাশের গভীর কালো অন্ধকার অংশে।
যেখানে কালো বৃহৎ কৃষ্ণগহ্বর গোগ্রাসে
গিলে নিচ্ছে .... পাপের অংশ
শয়তানদের দেহাবশেষকে।
পবিত্রতা- পরিশুদ্ধতা পাচ্ছে পৃথিবী..
মানুষরূপী শয়তানের পাপের আবরণ থেকে।
বিশুদ্ধ প্রকৃতি মাতা, মহানন্দে এই আগমনীর
জয়ধ্বনিতে কাঁপিয়ে তুলছে মহাবিশ্বকে।
অবশেষে জন্ম উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ হল,
মনুষ্য রূপে আবির্ভূত হওয়া
সংহারক মহাকাশকন্যা আগমনীর।
নতুন এক পবিত্র আরম্ভের সূচনা করে,
সর্বশেষে হাসিমুখে আগমনী ফিরে যাচ্ছে....
তার প্রীয় স্থানে .... যেখান থেকে তার
উৎপত্তি .... সেটাই তার উৎস........
উল্কা আর নক্ষত্রপুঞ্জে ভরা
রহস্যময়ী মহাকাশ ...
কারণ...........,
আগমনী-ই যে মাতৃরূপী মহাকাশ শক্তি।।
☆-------সমাপ্ত--------☆