মা
মা
বেবাক কোনও নদীর মতো ঠিক
বয়েই চলো আপন মনেতেই,
সবারই তো ছুটির সময় আসে
তোমার সেসব ভাবার সময় নেই।
কপাল জুড়ে ঘামের বিন্দু আঁকা,
আমরা যাকে ক্লান্তি বলেই চিনি,
আঁচল জুড়ে হলুদ লেগে থাকা,
তুমি সেসব ভাবোনি কোনও দিনই।
যত্ন করে প্রদীপ জ্বালাও যখন
ঠিক মনে হয় লক্ষ্মী ঠাকুর বসে,
ফুলের ডালি সাজাও ঠাকুর ঘরে
তখন জেনো ফুলগুলো সব তোমার পায়েই খসে।
আকাশ জুড়ে মেঘ করে যখন
তোমার মনেও জল, চুঁইয়ে পরায় ক্ষত।
আমাদের মনের ভীতর যে চারা গাছের বাস,
সেই জল পেয়েই সে, নিশ্চিন্তে বাড়ছে অবিরত।
 
;সংসারের ভার নিয়েছো একাই
মুখে তোমার বিরক্তি নেই, হাঁসি।
সূর্যও তো অবাক ভাবে তাকিয়ে দেখে তোমায়
সংসারের রক্ষাকবচ তুমিই, অহঃনিশি।
গাছের ছায়ায় পথিক বসে যেমন
আমরাও তো তেমনই ছায়া খুঁজি।
চারাগাছ ও দাঁড়ায় মাথা তুলে
জেনো তার পুরোটা, মাটির অবদানই।
মাটির মতো আঁকড়ে তুমি থাকো
দিন কেটে যায় একটা একটা করে,
পৃথিবীতে এই কষ্ট সবচাইতে বেশী
যখন দেখো মা এর বয়স বাড়ে।
এই কাহিনীর শেষ হয়না জেনো,
অন্য কোথাও, অন্য কোনও ভোরে।
শিকড় ছেড়ে বেড়িয়ে আসা হয়নি আমারও
মানিব্যাগেতে মা এর ছবি রেখেছি আদরে।