কই থেকে যে আসে মনে
কই থেকে যে আসে মনে
কই থেকে যে আসে মনে
আজ তো আনন্দের দিন !
তাইতো ? হ্যাঁ, তাইতো হবার কথা।
দুধ ছাড়া চিনি সেমাইয়ের ঘ্রাণ ,
আজ ওটাই হবে বাঁ পাশের বস্তির প্রাণ ।
তাও কান্দে কেন পশ্চিম ঝুপড়ির ছেলেটা ?
কি চায় মায়ের আঁচল ছিড়ে , থাপ্পড় ?
দিলো তো । অবুঝ , তুই তো বুঝিস না
খুনে সমাজের ধারাপাত ।
এখানে কারো কারো রক্ত ঘামের পানিতে ,
কেউ কেউ আনন্দের হোলি খেলে দিন রাত ।
কই থেকে যে আসে মনে
আজ তো আনন্দের দিন !
তাও কেন সুই সুতার গুটি নিয়ে খুটখুট করে
ঐ লালচে চুলওয়ালীর মা ?
একটু সেলাইতেই যে নতুন হয়ে যায় সব
ছোট মেয়েতো , সেটাও বুঝে না।
>কই থেকে যে আসে মনে
আজ তো আনন্দের দিন !
তাও ঝিমায় কেন টিন শেডের ঐ চাচা?
দেখলাম তো সেদিন বারবার
মাইনে গুনছে , ফিরছে বাড়ি।
মা বাপ সহ তার আছে জনা সাত,
পারেনি হয়তো ঘাম ঝরিয়েও
ভরতে সবার সপ্নের পাত।
তার চেয়ে বরং দেখি,
ডান পাশে সাত তলার আন্টিদের।
আহা ! দাওয়াত এসেছে , ভূড়িভোজ হবে সবার।
এ দাওয়াত দোতলার নিচে না নামে
আটকায় ইস্তাম্বুলি কার্পেটে,
আটকায় তিলে ধরা শার্টের ঘ্রাণে।
কলিংবেলের দামি আওয়াজে মধুর সঙ্গীত,
এই তো আনন্দ ! এই তো উন্নত সমাজের ভীত ।
কই থেকে যে আসে মনে
আজ কি আনন্দের দিন?
হুম , আনন্দের তাল শুধু ,
ঐ ডান পাশেই জানে।