কেন জানিনা
কেন জানিনা


কখনো কখনো কিছু রাত খুব বোঝা হয়ে ওঠে,
লৌহ আকরিক এর মত নিজেকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে ফেলতে ইচ্ছে করে।
মনে হয় নিভিয়ে ফেলি হৃদযন্ত্রের কম্পিত নিয়ন,
কত বিকেল কে কালো হয়ে যেতে দেখি -
কত সন্ধ্যে কেমন অনায়াসে গাঢ় হয়ে যায়,
নিজের সৃষ্টি দের যখন প্রলয়োল্লাসে ভাসতে দেখি
পুকুরের অদৃশ্য শ্যাওলায় নিজেকে মুছে ফেলতে ইচ্ছে করে।
কত অনায়াসে নিজের অস্তিত্ব কে বিপন্ন হতে দেখি
তবু নির্লিপ্ত মনে ব্যাকুল উদাসে শুধু ওর টানে-
শুধু ওর টানে বারবার বেঁচে থাকি
কেমন জান জড়িয়ে ধরেছে ডালপালা মেলে,কিছুতেই মুক্তি নেই
ওই অসীম সুন্দর বসুন্ধরার হাত থেকে।
তোমরা হয়তো শুনলে বলবে কি এমন দুঃখ এই টুকু বয়সে,
এইতো মোটে কুঁড়ি পেরিয়ে একুশে পা
আচ্ছা কখনো চাঁদের চোখে জল দেখেছ তোমরা?
দেখছ কেমন করে অমাবস্যা নেমে আসে তোমাদের প্রেম ঘরে
কই কখনো তো বাতাস ছুঁয়ে দেখনি শুধু শুষে নিয়েছ ওকে
তোমাদের কি কখনো ইচ্ছে হয়নি স্রোত হওয়ার?
এমন নির্লিপ্ত জীবনপ্রবাহে কেমন করে মত্ত থাক তোমরা?
সাধের অক্সিজেনের প্রতি কখনো ঘৃণা করে দেখছ?
ভালবেসেছ কখনো ধ্বংশালী কার্বন!
তোমরা কি বুঝবে অন্ধকার কাকে বলে
তোমরা শুধু সন্ধ্যের পর আলো জ্বালাতে শিখেছ কখনো গাঢ় হতে শেখনি।
আমি হয়েছি,হ্যাঁ হয়েছি যখনই ওরা কেঁপে উঠেছে আমি হয়েছি
আমি জীবন্ত জীবাশ্ম হয়েছি, তুমি হয়েছ?
আগে রাতের জ্বালানী তে পুড়তে শেখ
তারপর আমার ছাই স্পর্শ করো।
বারবার আমি ছাই হয়েই ফিরে আসি
সাধের বসুন্ধরা আমাকে যেতে দেয় না বারবার ফিরিয়ে আনে।