জয়যাত্রা
জয়যাত্রা
এখনও অনেক চড়াই বাকি।
দেবদারু, পাইনের জঙ্গলজুড়ে
যে নীরবতা আছে তার শরীর ভেদ করে
চলে কিছু অস্ত্রভাণ্ডার।
কণ্ঠনালী থেকে ফুসফুস পর্যন্ত
থরে থরে সাজানো আছে গুলি-বারুদ,
বুটের খট খট শব্দ প্রতিধ্বনি করছে;
কিছু পরেই পাহাড়টা ওদের
ওর মাথায় দাঁড়িয়ে বলবে,
‘তুই আমার ক্রীতদাস’
ভেবেছিল এই অস্ত্রেই কাহিল হবে পাহাড়টা;
কিন্তু এ কী! দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে।
আরও একবার বলল
‘তুই আমাদের শাসকের ক্রীতদাস’
কোন ভ্রুক্ষেপ নেই তার
কনকনে উত্তরের হাওয়া বইতে শুরু করলো
শুকনো পাতারা লুটোপুটি খেল
আশ পাশের ছোট ছোট পাহাড়গুলি আড় চোখে দেখল;
তারা একসঙ্গে চিৎকার করতে শুরু করলো
‘তুই দাস, তুই দাস, তুই দাস’
কেউ একজন ছোট একটা মাইক বের করে
উন্মাদের মত চিৎকার করতে লাগল।
কোন ফল হল না;
সকলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল
ওদের মাথা এবার আলাদা হবে ধর থেকে!
ওরা টকশো-এর সেলিব্রিটি
যা কিছু অস্ত্র কন্ঠে রাখা ছিল সব শেষ।
এরপর শুরু হল তুষার ঝড়
মৃত্যুভয় তাড়া করল
হামা দিয়ে, গড়িয়ে নামতে শুরু করলো পাহাড় থেকে;
একটু নেমেই একটা গুহার দেখা পেল।
ঝড় শেষ হল --- চারিদিকে দিনের আলো তখনও ঝলমল করছে।
