ঈশ্বরের কীরাত চোখ
ঈশ্বরের কীরাত চোখ


আলো জ্বালে নি কেউ, যেদিন
ঈশ্বরের কীরাত চোখ ফাঁকি দিয়ে
তোমরা আমায় তাড়া করেছিলে-
খোঁচা খাওয়া শুয়োরের মতো
ছুটেছিলাম অনেকক্ষণ,
তারপর পূর্বজন্মের
বিষ মাখা তীর বিঁধেছিল
আমার তিতকুটে হৃদয়ে।
আমার ক্লান্ত দু'চোখে
তখনও মরণের আগের ঘুম।।
ফাউন্টেন রক্তে লাল হয়ে গেছিল চাঁদ,
রাজপথে ভৌতিক ধর্মগ্রন্থদের ছায়া।
আমার কারাকাসে কোথাও লেখা ছিল না
অযোধ্যা, বাবরি কিংবা শাহীনবাগ।
এতদিনে বুঝেছি মানুষ খুনের ঘটনা
বড়োই সাধারণ-তার চাইতে অনেক বড়ো
p>
ধর্মের পাঠশালায় এঁদো পড়াশুনো।
আবার কোনোদিন জন্মালে বোঝাবো
আসলে মন্দির ও মসজিদ দুটোই সৌধ।।
মরার পরেও আমার পোড়া শেষ হয় নি,
হত্যার বলিরেখা বরাবর ঈশ্বরের কপালে
অভিযোগ আঁকতে গিয়ে দেখলাম:
মর্গের পাশের হাইওয়ে দিয়ে
শোঁ শোঁ চলে যাচ্ছে লাশ ভর্তি ট্রাক;
বেহেস্তের জানালা জুড়ে আশ্চর্য মারণ রেণুর মতন
উড়ছে কোটি কোটি সরলবর্গীয় করোনা ভাইরাস।
জানি, জীবনের এমন নিষিদ্ধ প্রান্তে
ঈশ্বর বা তোমরা কেউ কোনোদিন যাবে না।।