এক ঝাঁক বিষণ্ণতা
এক ঝাঁক বিষণ্ণতা


ধূসররঙা বিকেলটুকু বিষাদপ্যালেট ছুঁলেই
আত্মঘাতী হতে ইচ্ছে করে ভীষণ।
পরিযায়ী শব্দেরা মৌমাছি-মনে
ভুলে উড়ে গেছে দেবদারু-মূলে।
সদ্যোজাত সন্ধ্যাতারার বুক ছুঁয়ে কবে মরে গেছে
আলতা-ছোঁয়া আকাশের অবয়বহীন পেলবতা।
কাঁটাতার রাত্রির গায়ে জমাট বাঁধে পলাশছোঁয়া পূরবী।
মৃত্যুমুখী শহরে জীবনের পাশাপাশি চলে এক গহন মৃত্যুস্রোত,
মরা ইঁদুরের চোখের মতো এক নিরেট প্রশান্তি নামে এ শহরে প্রতিরাতে।
জানলার পাশে থমকে থাকে প্রেতের মতো অন্ধকার।
রাতের ধ্বংসস্তুপে লিবিডোশীতল কলমে প্রতিনিয়ত লিখে চলি
একেকটি তিমিরবিলাসী বন্ধ্যা সুইসাইড নোট।