ধার্মিক
ধার্মিক


আমি কবিতা লিখতে লিখতে অহরহ ধর্ম পরিবর্তন করি,
কখনো শিখ হয়ে মাথায় পরি নগরায়নের পাগড়ি;
কখনো মুসলমান, কপালে নিকাবের পরোয়ানা,
আর কখনো হিন্দুর বেশ, লিখে নেওয়া ওঁমকার বিধি;
আমি কবিতার জন্য ফেলে এসেছি ঘরছাড়া ধর্মকে!
নিজের ধর্ম চিনতে হলে আমায় চিরকাল বসতে হয় গাছেদের পাশে,
কখনো আমার পাড়ার মেয়েটাকেও দেখেছি আজানের সাথে ঠোঁট মেলাতে,
বন্ধ দরজার পিছনে গুমট অববাহিকা ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে তাদের পোশাক!
আসলে উদ্বাস্তু নয় কেউ,
প্রত্যেকটা ধর্ম তাদের পাশে পাশে, ক্রমাগত জুড়ে দিয়ে যায় উদ্ভ্রান্ত ছায়া;
আমি এখনো আড়ষ্টতা ভেঙে মন্ত্র থেকে প্রতিনিয়ত ত্রুটি খুঁজে বেড়াই...
একটা কবিতার জন্য যতটা উপাচার রেখে যায় কেউ,
তার চেয়ে আর ধারালো নয় যেকোনো অস্ত্ররা!
ঘুমচোখে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমার একাধিক বিষফলা দাঁত,
অজান্তে সরে যাচ্ছে মোড়কহীন রাতের জঞ্জাল!
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে এখনি, ধার্মিক হবার সুযোগ এসেছে আমার
সমস্ত গণিকার দেহে ঠিক যত কাপড় জড়িয়ে জড়িয়ে দিচ্ছি আমি,
অক্ষরগুলো ততই আশ্রয়হীন হয়ে উঠেছে আমার কবিতায়...