চটি আঘাত
চটি আঘাত
সারা বছর তো এখনো সামনে রয়েছে পড়ে,
ছবিটি আলোড়ন তুলেছে আজ দুনিয়া জুড়ে।
এ যেন চটি দিয়েই আধুনিকতার গালে চপেটাঘাত,
না বুঝেই ওরা করেছে কিছু মানুষের মর্মে আঘাত।
বোঝা যায় ছোটোরা যে সেলিব্রিটিদের নকল করে,
মোবাইল না থাকলেও খেলতে গিয়ে অভিনয় করে।
মা ঠাকুমাদের রান্না দেখেই শুরু খেলা "রান্না বাটি"!
পুঁচকেরা দেখছে মোবাইল পথে ঘাটে হাঁটি হাঁটি।
নেই সকলের পায়ে ওদের একজোড়া চপ্পল,
ছিলো শিশুদের পাঁচ জনের ছোটো এক দল।
হয়তো কেউ ওদের সাজিয়ে ফটোটা তুলেছে,
কি মন্ত্রে ভুলিয়ে যে এমন খুশীর অভিব্যক্তি পেয়েছে!
ওরাও ঠিক সেলফির মতোই যেন গ্রুপফি তুলছে,
যদিও পাঁচজনেই অকৃত্রিম হাসি ছবিতে হাসছে !
একজোড়া চোখে ক্যামেরাম্যান ধরা পড়ে গেছে।
ভারত, বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কায় হয়তো ওদের বাড়ি,
ধনীদের ফেলে দেওয়া কিছু হয়তো করে কাড়াকাড়ি।
কিন্তু ওদের মুখের ঐ হাসি দামী অনেকের কাছেই,
একদিন না হয় একদিন পরিস্থিতি নেবে তা কেড়েই।
কেউ কেউ আজকাল মোবাইল পেয়ে যায় জন্মেই,
মোবাইলের স্বপ্ন দেখে যায় আজ শিশুরা অনেকেই।
কতদিন জীবন বাজি রেখে চলবে সেলফির হিড়িক,
শুধু চাই, নিজেদের ভালো মন্দ সকলেই বুঝে নিক।
কি খেলো, কোথায় গেলো, কেমন পোষাক পড়লো,
সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট না করলে শান্তি নেই !
দুনিয়াটা হেলে দুলে চলছে কোন দিশাহীন দেশে?
লাইক আর শেয়ার এর মোহে আজ ছুটছে অনেকেই,
নিরুদ্দেশের পথে যায় কেউ কেউ তো এই ভাবেই।
সেলফির নেশা ব্রেন ক্যাপচার করেছে যে সহজেই,
নেশার ঘোরে মরণকে ডেকে নেয় কিছু না বুঝেই !
