ছায়া ছায়া সত্যি ২৫
ছায়া ছায়া সত্যি ২৫
শাড়ির কালো পাড়ের মতো মেঘ আসে মনেজানি, স্বচ্ছ বর্ষায় ভেসে যাচ্ছে তোমার ভুটভুটি
পাশবাগানে তোমার গাছগুলো বিস্ময়ে একগুঁয়ে
মুখোশিরা মঙ্গলকথা দলবদ্ধ হয়ে তোমাকে শোনাচ্ছে
এতদিন শাঁখ বাজিয়েছি, ধূপও দিয়েছি, আপনকথা বলেছি বকবক
তুমি আমি আমি তুমি, মাথার ওপর উৎসুক আকাশ শুধু
কি কি পাবে তার লিখিত অলিখিত ইস্তাহার দিল
ঝাপসা চোখেই না হয় পড়ে ফেলো অবিশ্বাসে
বর্ষার জলে খুব টান? মুন্ডু ঝাঁ ঝাঁ করছে? করুক করুক
তবুও তো তুমি আছো, মন্ত্রবিদ সংসারিও ওৎ পেতে আছে
তোমার ঘুম আসবে অনেক অনেক অনেক দিন পর
তোমার লোমকূপে হুটোপাটি খাবে সামাজিক ঘাম
চৌচির হয়ে ভাসন্ত ভূপৃষ্ঠ, ভাঙা হাড় সম্বল
যৌবন আছে এখনও আমার ইস্পাতি হৃদপিন্ডে
পাথর আখ্যা দিয়ে কতশতবার হৃদয় মুচড়ে
একা একা রাত খেলে
প্যাঁচাদের প্রতিবাদ গায়ে তোলো নি, মানো নি হুক্কাহুয়া ইশারা, সেই তুমি
সেই তুমি ভেসে যাচ্ছো ইস্তাহারে লেখা ঠিকানায়
সেখানে মাটিরা আঁকড়ে পুকুর, গাছ আর কচি লাউগাছ?
মন খারাপি কিছু নেই মন্দির মসজিদে? সব খুশি খুশি?
চূড়ান্ত সাহসে রাজহাঁস ঠোঁট গোঁজে রাজহংসির গলায় আর ঘাড়ে?
ইস্তাহার না হয় এবার তুমিই লেখ, হোক কাটাকুটি, ছেঁড়া পৃষ্ঠা উড়ুক
তবুও তোমার শর্তগুলো ইস্তাহারে ঢোকাটা অনিবার্য হোক, অনিবার্য হোক
ছায়া ছায়া সত্যিগুলো কালো পেড়ে মেঘ থেকে নামুক ভূপৃষ্ঠে
তরতর করে ভেসে যাক, পোড়া কাঠ হোক পরের ইস্তাহার
আগুনগুলো করুক শলাপরামর্শ, কাকে রেখে কাকে খাবে
আমি ততক্ষণ চিৎ সাঁতারে একটু বিশ্রাম খুঁজি পুরনো খোলসে