ব্যাকুলতা
ব্যাকুলতা
নদের নিমাই ছেলে
চলেছে সংসার ভুলে,
কোন দিকে তাহা নাহি জানে,
চলিয়াছে আনমনে
বহুদূর দিক পানে
ভয়ডর নাহি কিছু প্রাণে ।
মুখে তার এক কথা
"শ্রী কৃষ্ণ" অন্তরে গাঁথা
তাহাকেই স্মরে মনে মনে,
যাহাকে সামনে দেখে
জিজ্ঞাসে তাহারে ডেকে
দেখা পাবে কি "শ্রী কৃষ্ণের " সনে ।
হেঁটে হেঁটে নিশিদিন
বদন বিষন্ন, মলিন,
তৃষ্নায় শরীর কাতর;
তথাপি চলেছে হেঁটে
চলেছে ক্ষুধিত পেটে
পার হয়েছে কত প্রান্তর ।
যদি কেউ দিলো দুটি
অন্নকণা, শুকনো রুটি
রুগ্ন দেহ নিমাই কে দেখিয়া,
আনন্দে খেয়েছে সে
প্রানভরে, নিঃশেষে
অন্তর ওঠে তৃপ্তিতে ভরিয়া ।
একদিন সন্ধ্যাকালে
নিমাই হঠাৎ পেলে
দীক্ষাগুরুর দর্শন,
নাম তার ঈশ্বরপুরী
সংসার ত্যাগ করি
হইয়াছেন সন্ন্যাসী একজন ।
নিমাই দীক্ষা নিলো
অন্তর আনন্দে ভরিলো
গুরুমন্ত্র শুনিয়া,
বহুদিন পূর্বে সে
সংসার ত্যাজিয়াছে
সন্ন্যাসী হইবে বলিয়া ।
পথ ঘুরে মেলেনি হায়
শ্রী কৃষ্ণের সন্ধান - তাই
মন রহে বিষাদে জুড়িয়া,
নীলাচলে আসি পায়
অন্তরে কৃষ্ণ-কানাই
প্রেম আসিল ভুবন ভরিয়া ।
যার খোঁজে ফিরিয়াছে
বহু দূরে আসিয়াছে
এত দিনে এলো শুভদিন,
প্রেম-ভক্তি সঞ্চারিল
হৃদয়ে কৃষ্ণ প্রবেশিলো
'শ্রী কৃষ্ণ' নিমাই-এ হলো লীন ।