বন্ধু
বন্ধু


বন্ধু আমার বড়ই প্রিয়;এক গাঁয়েতে থাকি
নবমশ্রেণীর বার্ষিক আর দু একদিন বাকি।
অঙ্কে যে ও ভীষণ কাঁচা;সবাই সেটা জানি
আমি ভাবলাম সেই কারণে যাচ্ছে নিয়ে টানি।
ঢুকেছি যেই পড়ার ঘরে;এঁটে দিল খিল
তারপরে সেই দেঁতোমুখো হাসল যে খিলখিল।।
হাসি শুনেই বুঝেছিলাম;অন্য তার মতি
শূলি ভুসে করলে যে মোর ইয়া বড় ক্ষতি!
ভূগোল বই এর পাতা উল্টে;টেনে আনল চিঠি
বলল তাকে পাঠিয়েছে ক্লাসেরমেয়ে মিঠি।
হাতের লেখা ছাপার মতো; এটাই আমার দোষ লিখতে হল চিঠিখানা উফ কি আফসোস!
ওটাই ছিল,আমার লেখা; প্রেমের প্রথম চিঠি
সেইথেকে মোর হয়েছিল চিঠি লেখার ইতি।
ভুলিনি সেই কালাদিবস;ছিছিক্কারের শব্দ
করলে আজো স্মৃতিচারণ হয় দুকান স্তব্ধ।
বলছি এবার সেই নিদারুণ;বক্ষভাঙা কথা
চিঠি লেখার অভিজ্ঞতায় কাঁচা মনের ব্যাথা।
বন্ধুটি মোর চিঠিখানা;মিঠির খাতায় ভরে
ফেরত এসে বেঞ্চে আপন বসে আয়েশ করে।
ওদিক তখন কেমন করে;যায় পড়ে সেই চিঠি
কৌতূহলী বান্ধবী সব করে ঘাঁটাঘাঁটি।
এমন সময় অংকের স্যার;নেন কেড়ে সেই পত্র
পরক্ষণেই আমার দিকে ঘুরে আগুন নেত্র।
ক্লাসের সবাই ডাকে আমায়; হ্যান্ড রাইটিং কিং
বেজে তখন গেছে আমার অপমানের বীন।
তখন বাবার ডাক পড়ল; টিচার্স কমনরুমে
আমার তখন বন্যা চোখে সবার কথা শুনে।
কুক্ষণে কি কপাল দোষে;বন্ধুর কথা রেখে
লিখেছি এক প্রেমপত্র বলবো আমি কাকে?
আমার কঠোর শাস্তি শুনে;বন্ধু এলো ছুটে
কবুলনামা করলো জমা;মিঠিও একসাথে।
ঘুচলো তখন সকল কালি,কপাল হলো সাফ
দুঃখ তবু যায়নি আজো লাগছে বড় খারাপ।
বন্ধু ধরে টিসি তখন;গেল মোদের ছেড়ে
সে ছাড়েনি আজো আমায় নিয়মিত ফোন করে।