আমার রবীন্দ্রনাথ
আমার রবীন্দ্রনাথ
আজ পঁচিশে বৈশাখ।রাস্তাঘাট ফাঁকা, বিশাল শূণ্যতা বিরাজ করছে।
লকডাউনে তোমার জন্মদিনের চেনা ছন্দ হারিয়ে গেছে
কিন্তু আমাদের মননে তোমার যাতায়াত সবসময়।
তাই দুঃসময়ে তোমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে জীবন তরী বাইতে চাই
তুমি বলেছো " বিপদে আমি না যেন করি ভয়।"
সুনীল আকাশে বলাকারা ধায়,বইছে অমল বাতাস
তাই মুক্তির স্বাদ পেতে ঘরেই অনলাইনে তোমায় সবে করছি স্মরণ।
তোমার সাথে প্রথম পরিচয় ছোটোবেলায় পাড়ার অনুষ্ঠানে
পুতুল ভাঙ্গা কবিতা বলতে মা সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছিল।
সহজ পাঠে "কাল ছিল ডাল খালি" আমাকে আরো নিবিড় বাঁধনে বাঁধে
তারপর লুকোচুরি, বীরপুরুষ ,কাবুলিওয়ালা স্বপ্নের রাজ্যে ভাসায়।
তোমার সঞ্চয়িতা গল্পগুচ্ছ পড়তে পড়তে কখন বড়ো হয়ে গেলাম
গীতবিতানের হাত ধরে সুরের ঝর্ণাধারায় প্রবেশ করলাম।
তোমার ভাষা ছন্দ বিশ্বপ্রেম রোমান্টিক সৌন্দর্য চেতনা
কলেজ জীবনে আমার মনকে নাড়িয়ে দিল।
মানসী, সোনার তরী, চিত্রা,চৈতালী, কণিকা কাব্যগ্ৰন্থ পাঠে মুগ্ধ হলাম।
অস্পৃশতা ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে করেছিলে তীব্র প্রতিবাদ
তুমি সুখ দুঃখ প্রেম বিরহ অভিমান বেদনা সবেতেই জড়িয়ে আছো।
তুমি দুরন্ত,তুমি আলোকবর্তিকা, তুমি নির্ভীক,তুমি চির প্রত্যয়
তুমি সর্বজনীন, তুমি সর্বকালীন তোমার সৃষ্ট বাণী চির অক্ষয়।
দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে তোমার গান ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়।
এই ঘোর অমানিশা যাবে কেটে
তোমার কথায় বলতে চাই "বুঝি গো রাত পোহালো বুঝি গো দেখা দিলো রবির আলো।"
আমার প্রাণের ঠাকুর হে মহাপ্রাণ,লহ প্রণাম।।