আবার হবে তো দেখা
আবার হবে তো দেখা
বসন্তের রঙ ফুরিয়ে যাওয়ার পর সহসা সর্বগ্রাসী নিস্তব্ধতা,
ছন্দহীন কবিতার শব্দবন্ধে উঠছে একাকীত্বের ফেনিল ঢেউ,
নির্জনতার সড়কে ভীষণ অজানা পথের পথিক তুমি-আমি,
টেকটনিক প্লেটের মতো জীবনেরও মসৃণ পিচ্ছিল প্রবণতা;
পিছলে যাওয়া সময়ে অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতাদের সম্মুখীন,
এই শহরের বুকে বৃষ্টিভেজা বিকেলে আবার হব মুখোমুখি?
উষ্ণায়নের চোখরাঙানিতে ধারাপাতে আবার হবে তো দেখা?
আঙুলের ডগায় লাগা আদরের শেষ বিন্দুটুকু ছলকে গেছে,
প্রত্যাশাদের গুমোট ভিড়ে কিছুটা আর্দ্রতা হারাবে ভালোবাসা,
কয়েকটা বছর আগলে না রাখার অভ্যাসে হবে অতিক্রান্ত,
ভাঙা জানলার ওপারে তুমি হবে অতিথি, আর আমি বেদুইন;
আবেগপ্রবণ জং ধরা হৃদয়ে থমকে যাবে সময়ের কাঁটাগুলো!
নদীর বুকে চরা, আমার চেনা শহরটাও সহসা খুব অচেনা,
শঙ্কা জাগে, দিগন্তে নদীর কলতানে আবার হবে তো দেখা!
সহস্র কোলাহলের ভিড়ে জেগে উঠবে প্রাচীন স্মৃতির ডাকবাক্স,
তোমার শহরে চোখ ধাঁধানো আলো, আমার বুকে মাটির প্রদীপ;
আলোর তেজে পুড়লে শহর দেখা হবে আবেগের কোলাহলে,
চোখের তারায় প্রদীপের আলো মেখে থাকবে নিষ্পলক দৃষ্টি,
বৃষ্টি, নদী, পাখির কলতানে দেখা হবে ঠিক কল্পনার শহরে,
কবিতার আখ্যানে মরুভূমিতেও মরূদ্যানের ঠিক পাব খোঁজ;
তৃষ্ণাবারির সিঞ্চনে প্রত্যয়, নীল গ্রহেই আবার হবে তো দেখা।