পাটভাঙা শাড়ি
পাটভাঙা শাড়ি
কলমি লতার বাঁকা রজ্জুতে তামাটে চুম্বন রেখা,
পানকৌড়ির ঠোক্কর খেতে খেতেই নরকের প্রহর গুনে...
সেই প্রস্তর যুগে কোন এক আদম তার ইভকে
নিয়ে গেছিল, আশ্চর্য সহবস্থানের দিকে;
সেখান থেকেই ইতিহাস শুরু।
বিবেকের লাশে আজ সত্যের পরাভব..
ডুকরে কাঁদে অস্তিত্ব...
মেঘলা জীবনটাও কোমায়, ঘন কুয়াশার আবর্তে।
জানা নেই ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অনুশীলনে
তবুও কেন দ্বিমুখী উপমার ছড়াছড়ি!
আজ সীমাহীন আকাশ ফুঁড়ে অ্যাসিড বৃষ্টিতে স্বপ্নের আলমারিটাও ফুটো...
আর লুকানো পাটভাঙা গারদের শাড়ীটাও ছন্নছাড়া,
এখুনি হয়ত একটু গুছিয়ে নেওয়ার সময়
স্মৃতির জোছনায়।
কলমি লতারা আবার লকলকে
কোন অর্জুনের স্পর্শে,
জলীয় চুম্বন আর মৌমাছির হুল
দুটোই বড্ড আপন আজ তার;
কেননা পাটভাঙা শাড়িটার জন্য
কৃষ্ণকায় বিকেলে আবার একটি মহাভারত রচনা...
কিন্তু লেখক...?
অর্জুনের রথের চাকা যে রাক্ষসের গ্রাসে!