Library
প্রথম প্রেমের চিঠি
প্রথম প্রেমের চিঠি
প্রিয় রানী,
আর পারলাম না রে। অহরহ নিজের সাথে যুদ্ধ করে করে ক্লান্ত আমি। না পেরে আজ লিখেই ফেললাম তোকে আমার মনের কিছু কথা। প্রিয় লিখলাম বলে রাগ করিস না,সত্যিই তুই আমার প্রিয় রে,ভীষণ প্রিয়। তুই যে আমার কতখানি,সে আমি তোকে বোঝাতে পারবো না রে।
একই পাড়ায় থাকার সুবাদে ছোট থেকেই তোকে দেখছি,চিনি। ছোট থেকেই তুই খুব সুন্দর, ফুটফুটে, ফুটন্ত গোলাপের মত। যত বড় হয়েছিস,দিন দিন তোর রূপ যেন বেড়েই চলেছে। তবে শুধু রূপের জন্য নয়,কেমন করে যেন তুই আমার মনের মণিকোঠায় বসে গেছিস। ছোট থেকেই তুই দুরন্ত। ছুটোছুটি, দামালপনা,খিলখিলিয়ে হাসি তোর। কখনও তোকে আস্তে হাঁটতে দেখিনি,আস্তে কথা বলতে শুনিনি, প্রাণোচ্ছ্বল কাঠবেড়ালির মত সদা চঞ্চল। আবার পড়াশোনায়ও তুই এত ভাল,তোর মত মেয়েকে ভাল না বেসে পারা যায় না রে। পাড়ার সবাই তোকে ভালবাসে,ছোট বড় সবাই,তবে আমার ভালবাসাটা একদম অন্যরকম। আমার হৃদয়ের ভালো 'বাসা'টায় তোকে বসিয়ে রেখেছি যত্ন করে,অনেকদিন ধরে।
আমি তোর জন্য পাগলপারা। রানী তুই সত্যিই আমার রানী,আমার মনের রানী। বল,চিরকাল শুধু আমার রানী হয়ে থাকবি। বহুদিন থেকে তুই আমায় পাগল করে তুলেছিস,অকারণে তোর বাড়ীর পাশ দিয়ে ঘুরি,যদি দেখা পাই। কত চেষ্টা করেছি নিজেকে বিরত করতে,পারিনি। এবার যখন পাড়ার পুজোর ফুল কিনে নিয়ে এলাম আর তুই ছুট্টে এসে আমার হাত থেকে ফুলের প্যাকেট গুলো নিলি,তোর সাথে চোখে চোখে হতেই আমি দেখলাম,তোর চোখেও আমার জন্য ভালবাসা লেখা রয়েছে। ফুলটা দেবার সময় কিছুটা ইচ্ছা করেই তোর হাতে হাতটা ছোঁয়ালাম,তুই যেন বুঝেও বুঝলি না,একপলক আমার দিকে তাকালি,ফিদা হয়ে গেলাম,সত্যি বলছি। আমি যেন রূপকথার রাজ্যে পৌঁছে গেলাম। আর তারপর থেকে আমার মনের মধ্যে উচাটন শুরু হয়ে গেছে। তোর কাজল কালো চোখ,তোর হাতের উষ্ণ স্পর্শ আমায় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সর্বদা।
আমি জানি রানী,কিছুটা হলেও আমি তোর মনে জায়গা পেয়েছি,আর সেই ভরসাতেই আজ সাহস করে তোকে আমার মনের কথা জানিয়ে লিখে ফেললাম।Please রানী,আমায় ফেরাস না,আমি তোকে চিরদিন রানীর আসনে বসিয়ে রাখবো,কথা দিলাম।
আমায় অপেক্ষায় রাখিস না,যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা ছোট্ট চিরকুটে হলেও জবাব দিস। আমায় স্বীকৃতি দে রানী। আমার সবটুকু ভালবাসা তোর জন্য,আমার সবটুকু উষ্ণতা তোর জন্য। আমার যা কিছু সব তোর জন্য,শুধু তোর জন্য,শুধুই তোর জন্য।
টুটু
(যে তোর রাজা হয়ে থাকতে চায়
চিরদিন,চিরকাল)
