জলন্ত নিকটিন
জলন্ত নিকটিন
দীর্ঘ আট বছর পর আমার ওর সঙ্গে দেখা, ওর বলতে আমার প্রাক্তন।
কলেজের শেষে মোহন দার চা এর দোকানে, এক সাথে বসে দু কাপ চা আর একটা সিগারেট প্রতি দিন আমাদের প্রেমের সঙ্গি হত। আমার আজও মনে আছে সেই দিন গুলোর কথা, প্রতি বার আমি শেষে সিগারেট এর কাউন্টার টা নেওয়ার পর তোকে বলতাম তুই কী আমার কথা ভুলে যাস?
তুই মুখটা ছোটো করে বলতিস, নারে পাগল তোর ওপর আমার যেমন একটু বেশি অধিকার, তেমনি তোর ওই নিকটিন ভরা সিগারেট এর ওপরেও আমার একটু বেশী অধিকার। তোর ওই ছোটো মুখটা দেখে আমি হেসে ফেলতাম।
"না, তখন আমার কোনো সিগারেট এর নেশা ছিল না, আমিত তোর ওই দুই ঠোঁটের স্পর্শে ভেজানো সিগারেট এর ফিল্টার টা একটু বেশি সময় ধরে নিজের ঠোঁটের মধ্যে রাখতে চায়তাম।"
আজও আমি সিগারেট খাই জানিস, তবে আজ আর আমি তোর ঠোঁটের স্পর্শ খুঁজি না। আজ ওই সিগারেট এর জ্বলন্ত ছাই দিয়ে ঢেকে দিতে চায় সেই পুরনো দিন গুলো। কারণ তোর আজ পদবিটা রাই থেকে চ্যাটার্জি হয়েছে।
আজ বড্ড ইচ্ছে করছে তোর সিগারেটের ওপর ভাগ বসাতে। তুই কি তোর সিগারেটের কাউন্টার টা আমাই দিবি? ...
"তুই জানিস তোর সিগারেট খাওয়ার ধরনটা বদলে গেছে আর আগেকার মত নেই। আজ আর অনুভূতি হচ্ছে না তোর ওই কোমল ঠোঁটের স্পর্শ। মনে হয় তর ভালোবাসার মানুষটা তোকে শিখিয়ে দিয়েছে।
আচ্ছা তোর কাছে একটা প্রশ্ন আছে, তোর ভালোবাসার মানুষটা তোকে ভালোবাসে তো?