sonia sarkar

Drama Others

3  

sonia sarkar

Drama Others

ইনভার্টার

ইনভার্টার

2 mins
74


লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক সময় ধরে আলো থাকে না। তাতে বাবা একা ছিল । এই ঘটনা থেকে ‌আমি অনুপ্রেরণা পেয়ে এই কাহিনী টি লিখেছি। 


বিকেল সাড়ে পাঁচটা। শীত কাল। রোদ নামছে । প্রাকৃতিক আলো বুজে আসছে। ঘুম থেকে উঠে খবরটা সুনব বলে ভাবলাম। হবে না। কারেন্ট নেই। সে কখন থেকে গেছে , এখন ও আসেনি। কে জানে , কি ব্যাপার। কোথায় আটকালো ? চার দেয়ালের মধ্যে অন্ধকার - অন্ধকার সব কিছু। শুধু মাত্র জানলার ফাঁক দিয়ে এক চিলতে সূর্যের আলো আসছে। তাই আলো করেছে। তবে কিছু ক্ষণ পর এ ও তো বুজবে। আরো একা হয়ে যাবো । পিউ আসাার অবধি । কত একা লাগছে এই অন্ধকারে । সহধর্মিণী নেই। কথা বলব কার সাথে। বয়স হয়েছে। সঙ্গি নেই। তার উপর অন্ধকার। কি করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না । একলা অন্ধকারে কি করব ? তলায় গিয়ে লোকেদের সাথে কথা বলব ? কে সুনবে ? কে সুনচে ? এক খবর কে সুনবে ? তা জানি না তবে এই কথা টা জানি ওইখানে গেলে কিছু টা যখন বলব তা ওদের সুনতে ও হবে পর নিন্দা পর চর্চা। কিন্তু যাব কি করে ? সিঁড়ি র ঘর টা ও তো অন্ধকার থাকবে। দেখতে না পেয়ে যদি পড়ে যাই। ঘরে ই বরং বসি। পিউ আসুক । সময় কাটছে না । কটা বাজে? মোবাইল টা তে বোতাম টিপে দেখলাম এই সবে সাড়ে ছয়। দু' ঘন্টা হয়ে গেল । খবর টা ন হয় বরং পিউ যে বই টা দিয়ে ছিল তাই পড়তাম। আর কয়েকটা পাতা বাকি । কখন যে কারেন্ট আসবে ? পিউ একটু তাড়াতাড়ি আয় মা । আমাকে অন্ধকারে আর ভালো লাগে না। 

দরজায় একটা টক করে আওয়াজ হল। কে এল ? আস্তে - আস্তে ঢুুকছে । ঢুকে জুতো রাখল। পিউ এলো। "কারেন্ট নেই? কত ক্ষণ গেছে? " পিউ  

 জিগে্যস করল । 

"হবে দু' ঘন্টা ।" বাবা বললো। পিউ কাজ সারতে- সারতে ভাবছে কত ক্ষণ বুড়ো বাবা অন্ধকারে  বসে ছিল , সেও একা। কেমন আঞ্চন - আঞ্চন করতে থাকবে । না এই টা ঠিক নয় । ইনভার্টার টা থাকলে কত ভালো হত । অন্তত আলো পাখা সাথে বন্ধু হয়ে থাকতো। আমি বেশি কিছু বলতে যাব না , বরং করে দেখাবো। পিউ বেশি কিছু না ভেবে ফোন করল গুপ্তা ডিস্ট্রিবিউটর কে। 

"একটা ইনভার্টার অর্ডার দেয়ার আছে। কত ক্ষণে পৌঁছে যাবে? "

"ঠিক আছে পাঠান । টাকার কথা চিন্তা করবেন না । আমি টাকা  পাঠাচ্ছি । "


এখন ইনভার্টার আছে । বাবা কে আর অন্ধকারের ভয়ে নেই। বাবা নিশ্চিত । 


Rate this content
Log in