বাবা মা এর সাথে কাটানো মুহূর্ত
বাবা মা এর সাথে কাটানো মুহূর্ত


বাবাঃ মা তুমি থেকে যাও , তোমার দাদি তোমাকে থেকে যেতে বলেছে
আমিঃ কেন? আমাকে কেন রাখতে চায়? তার সেবা যত্ন করার জন্য ? বাবা অবাক হয়ে বললেন - তোমাকে দিয়ে কেন সেবা যত্ন করাবেন? আমিঃ দাদীকে আমার ভালো লাগে না, আমাদের দিয়ে কাজ করায় বাবা অনেকটা ক্ষুব্দ হয়ে - কি কায করায় ? আমিঃ বলব না , বললে তোমার খারাপ লাগবে
এবার অনেকটা নরম হয়ে - বলো মা আমিঃ দাদী আমাদের দিয়ে পাছা ডলায়! বাবা র কিছু না বলে ফজরের ক্বাযা নামাজে দাড়ালেন মা বিছানায় বসে গান গাইছে- 'বনমালীগো ওওও_ তুমি পরজনমে হয়ো রাধা' মায়ের মুখে হাসির একটা আবেশ খেলা করছে বাবা সিজদা ফিরানর সময় মায়ের দিকে তাকিয়ে চোখটা আমার উপর টেনে মুচকি হাসল
মা ব্রিফকেছ গোছানো শুরু করেছে , খুব বেশি কিছু নিবেনা মনে হচ্ছে।
বাবা নামাজ শেষ করে উঠতেই বাবার ফোনটা বেজে উঠলো
বাবা দরজা খুলে ছাদে গেল
একটু পর ফিরে এসে মাকে বলল - মা তোমাকে অতি তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে, মা বলেছে তুমি আমাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বলবে তুমি করনি।তোমার মতো কুলাঙ্গার বউ মায়ের দরকার নেই।
মা আমার দিকে তাকিয়ে বলল, তোদের গ্রামে জানুয়ারি মাসে স্কুল এ ভর্তি করে দিলে হবে না? আমরা দুবোন মাথা ঝাকিয়ে সম্মতি দিলাম বাবা এ কথা শুনে বললেন - কিসের ভর্তি কোন লোক যেন জানুয়ারি মাসে যেতে বলেছে তাই যাচ্ছে! বাবা শার্ট পড়া শুরু করলো মায়ের গোছ গাছ শেষ
বাবা শার্ট প্যান্ট পড়ে হিমা কে বলল - মা তুমি থেকে যাও হিমাঃ শোনো বাবা আমি জানি না তোমাদের মধ্যে কে ভালো কে খাড়াপ, আমি শুধু জানি 'মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত' আমি তাই মায়ের সাথেই যাব ।
বাবা বলল যাও তোমারা মায়ের সাথেই যাও । মা সিএনজিওয়ালাকে ফোন দিয়েছিলো অনেক আগেই সিএনজি এসে পরেছে বাবাও দেখেছে।
আমরা জামা কাপড় পরে রেডি। সবাই সিড়ি দিয়ে নামছি বাবা আমাকে শেষ বারের মত বলল - সেই ম্রিয়মা কতো ছোট ছিল। স্পিডবোটে ছোট্ট ম্রিয়মাকে কোলে জড়িয়ে নিয়ে যেতাম । আমার চোখটা ভিজে উঠতে চাইল কিন্তু আমি দিলাম না। আমারা সিএনজি তে উঠে পরলাম, বাবা অন্যদিকে চলে গেলেন
আমারা সদরঘাট চললাম
আমি তখন ৯ বছরের , হিমা ৭ বছরের
এরপর মাস খানেক পর ডিভোর্স ।
আমার বাবা আমার মা কে অনেক টর্চার করত , কারনে অকারনে সন্দেহ করত। বিষাদময় একটা জীবন ছিল বাবা মায়ের সাথে কাটানো মুহূর্ত বলতে এগুলোই।