অপরাজিতা ২য় পর্ব
অপরাজিতা ২য় পর্ব


ডা. জাফরঃ স্যার,একটা অনেক বড় প্রবলেম হয়ে গেছে।
( ফোনের ওপাশ থেকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাদ্দাম হোসেন)
ডা. সাদ্দামঃ কি হইছে, বলুন?
ডা. জাফরঃ অপরাজিতা নামের যে পেশেন্ট মারা গিয়ে ছিল। পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে দেখা যায় উনার নার্ভ কাজ করছে। তাই আমি আর ডা. অনিল উনাকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাচ্ছি। আপনি একটু তাড়াতাড়ি আসুন।
ডা. সাদ্দামঃ আমি তো একটা ইমার্জেন্সি কাজে আছি। নও প্রবলেম, আমি আমার ছেলে ডা. রাফসানকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
ডা. জাফরঃ ওকে স্যার। একটু তাড়াতাড়ি পাঠাবেন।
ডা.সাদ্দামঃ ওকে
কিছুক্ষণ পর পরই, অপরাজিতাকে ইমার্জেন্সিতে ঢুকানোর সাথে সাথে ডা. অনিল ও ডা. জাফর সেখানে পৌঁছালেন।
ডা. জাফরঃ নার্স তাড়াতাড়ি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে এসে অক্সিজেন সংযোগ দিন।
নার্সঃ ওকে স্যার।
এরমধ্যেই ইমার্জেন্সিতে এসে পৌঁছালেন ডা. রাফসান।
ডা. রাফসানঃ রোগী কোথাও? কাইন্ডলি আমি কি উনাকে দেখতে পারি।
ডা. জাফরঃ সিউর।
( ডা. রাফসান অপরাজিতাকে দেখে রীতিমতো অবাক। মনে মনে বলতে লাগলেন, এটা কিভাবে পসিবল। অপরাজিতার তো মরে যাওয়ার কথা ছিল তাহলে ও কিভাবে বেঁচে গেল)
ডা.জাফরঃ ডা রাফসান, কি হলো আপনার।
ডা. রাফসানঃ উনাকে এখুনি অপারেশন করতে হবে। আপনারা অপারেশনের প্রস্তুতি নিন।
ডা. জাফরঃ ওকে, আমাদের আগেই উনার মাথার অপারেশন করার কথা ছিল। বাট, হঠাৎ চেক করে উনাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু আবার কি করে নার্ভ কাজ করছে বোঝতেছি না।
ডা. রাফসানঃ দ্রুত অপারেশন করলে উনার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনারা অপারেশন করার ব্যাবস্থা করুন। আমি এখুনি আসছি।
( কথাটা বরেই ইমার্জেন্সি থেকে বের হয়ে নিজের রুমের দিকে গেলেন। আর চিন্তা করতে লাগলেন অপরাজিতা তাহলে বেঁচে যাবে এটা ভেবে তার আনন্দ হলেও হঠাৎ মনে পড়ল অপরাজিতা যদি সত্যি ঘঠনাটা জানতে পারে তখন কি হবে। না না.. আর ভাবতে পারতেছি না। কি করবো এখন আমি। হে আল্লাহ আমাকে সাহায্য করুন।হঠাৎ চোখের সামনে ঝাপসা হয়ে ভেসে উঠল, একসময় আমি ওর কতই না কাছে ছিলাম, ওর হাতে হাত রেখে কতই না স্বপ্ন বুনেছিলাম। কতই না ওকে নিয়ে ঘুরে বেড়াইছি।,ওর হাতে হাত রেখে রেললাইনে হাঁটার সেই দিনগুলোকে অনেক মিস। কিন্তু ও এটা আমার সাথে কি করলো। এসব ভাবতে ভাবতে চোখে জল আসল ডা. রাফসানের)
এমন সময় তার রুমে একজা নার্সের আগমন।
নার্সঃ স্যার, অপারেশনের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ।
ডা.রাফসানঃ ওকে,আপনি যান। আমি আসতেছি।
ডা. রাফসান চোখের জল মুছতে মুছতে নিজের রুম থেকে বের হয়ে গেলে।
কিছুক্ষণ পরেই অপরাজিতার অপারেশন শুরু হলো.......