সুহাসিনী ফিরে এলো না কেন
সুহাসিনী ফিরে এলো না কেন
সুহাসিনী ফিরে এলো না কেন
যাবার আগে দিয়েছিলো কথা
সময়ের ব্যবধান ঘুচিয়ে
দূরত্বের ঠিকানা ভুলে
আসবো ছুটে তোমার কাছে
মিষ্টি হেসে আতরের গন্ধ ছড়িয়ে
মনকে বসন্তের আবিরে রাঙিয়ে
বৃষ্টি পড়া বন্ধ হয়েছে ধীরে ধীরে
কামিনী ফুলগুলো সতেজ হয়েছে স্নিগ্ধতায়
আকাশে তারাগুলো কলরব করে
মিটমিট করে তাকিয়ে বলতে চাইছে
ওগো বধূ বন্ধ ঘরের দরজাটা খুলে
বেরিয়ে এসে একবার দেখো মোদের পানে
যেখান থেকে রোজ সন্ধ্যায় বেরিয়ে এসে
সুহাসিনী দাঁড়িয়ে থাকতো
সরু সরু বাঁশ আর কঞ্চি দিয়ে ঘেরা
ছোট্ট অঙ্গনের মাঝখানে গগনপানে চেয়ে
আজ কেন এখনও সে
প্রতীক্ষারত হয়ে দাঁড়িয়ে নেই
সবুজ ঘাসের ওপর এলোমেলো কেশে
জানবার আগ্রহে তারারা ঔৎসুক্য নিয়ে
অপেক্ষা করছে নীরবে আকাশে
পূর্ণিমার চাঁদ যৌবনের আবিলতা
আর উন্মাদনার জোৎস্নালোককে
সারা আকাশ পরিবৃত করে কখনো সখনো
রাঙিয়ে তুলতে চাইতো সুহাসীনিকে
যাতে সে প্রজাপতির পাখা মেলে
উড়ে বেড়াতে পারে আনাচে কানাচে
তার প্রিয় প্রেমফুলের মধু সংগ্রহের তাগিদে
কিন্তু আজ সুহাসিনী দরজা খুলে
বাইরে এসে অঙ্গনে দাঁড়ালো না কেন
তবে কি সূর্য্যের কঠোর তাপপ্রবাহে
কাতর হয়ে বিষণ্ণতায় নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে
অজানা ছন্দহীন বায়ু তরঙ্গে
বেদনাকে অন্তস্থলে ঢেকে রেখে
দীর্ঘশ্বাসটা বের হয়ে বলে গেলো
সন্তর্পনে বিবর্ণ বেশে
সুহাসিনী চলে গেছে অস্তিত্বহীন দেশে
আকারহীন ভেশে
আর কখনো আসবেনা ফিরে
স্বপ্নটা বললো স্থানটা সবার গন্তব্যস্থল
সবাই না ফেরার সিদ্ধান্তে থাকে অটল