স্বর্গ
স্বর্গ


এসো, এ ধরিত্রীকে আবর্জনা মুক্ত করি ।
দেখছ না , তোমার আমার চারপাশে
কত আবর্জনা তিলে তিলে হয়েছে জমা ;
আমাদের উত্তরপুরুষেরা ঐ আবর্জনার
মধ্যে মানুষ হলে হবে না মানুষ ।
দেখছ না, চারিদিকের কেমন বিষাক্ত
হাওয়া আমাদিগকে গ্রাস করেছে ;
আমাদের মানবিক সত্ত্বা যেটুকু বা
অবশিষ্ট আছে তাও আর থাকবে না ।
একদিন আমরাই বলেছিলাম ,
এ পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে
রচনা করবো স্বর্গ ।মনীষীদের সে
স্বপ্ন আজো স্বপ্ন রয়ে গেল ,
আজ ও হলো না এখানে স্বর্গ রচনা করা ।
আমরা সমবেত প্রচেষ্টায় কী পারি না
এখানে স্বর্গ রচনা করতে ?কোথায় স্বর্গ ?
স্বর্গ তো মানুষের বসবাস পরিমণ্ডলে ।
এখন সর্বত্র বইছে মন্দ হাওয়া ,
অসুরের তাণ্ডবলীলায় শান্তি উধাও ।
মানুষ আজ নামতে নামতে নেমেছে নরককুণ্ডে ;
আমাদের হীন -নীচ প্রবৃত্তি ,অমানবিক মানসিকতা
ধাপে ধাপে বানিয়েছে এই নরক কবিরা বলেন ।
একে মুক্ত করার দায়িত্ব তো আমাদেরকেই
নিতে হবে ; আমাদেরকে বানাতে হবে
এই সুজলা শ্যামলা ফুলে ফলে পূর্ণ বসুন্ধরাতে স্বর্গ।
তোমরা কেউ না এগিয়ে এলে কেমনে এ ধরিত্রী
হবে স্বর্গতুল্যভূমি ? এখানে থাকবে না
হিংসা ,পরশ্রীকাতরতা,অনভিপ্রেত রক্তপাত ,
মার-দাঙ্গা ,নারীর অপমান , সাম্প্রদায়িকতা ,
'জাতের নামে বজ্জাতি ' ধর্মের নামে ভণ্ডামি ।
এসো , এ ধরাতল থেকে আবর্জনা মুক্ত করে রচনা করি স্বর্গ আমাদের আগামী প্রজন্মের মুখের দিকে চেয়ে,
নইলে পূর্বপুরুষেরা কেউ করবে না ক্ষমা ।