স্বপ্নিল একদিন
স্বপ্নিল একদিন
আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজ খোলা মাঠে,
দুই বন্ধুর দেখা হঠাৎ, অনেক বছর পর।
কিরে কেমন আছিস?
জানিস! এই মাঠই এখন আমার ঘর।
উরেব্বাস! তাই নাকি!
এতো দেখি দারুণ মজার ব্যাপার!
কি নাম ছিলো রে আমাদের? মনে আছে তোর?
আদুরে মেঘ আর বিস্ময় অপার!
দুর! এমন আবার নাম হয় নাকি?
কিছুই দেখি মনে নেই তোর!
আমাদের নাম ছিলো টিউলিপ আর পাখি।
আচ্ছা বেশ! তাই হবে হয়তো!
তুই হলি টিউলিপ আর আমি পাখি।
কতোদিন পর দেখা! আয় আমরা আজ-
সেই আগের মতোই একসাথে, খুব কাছে কাছে থাকি।
তবে তাই হোক!
আজ সারাদিন রোদ উঠুক, বৃষ্টি পড়ুক, চাঁদ থাকুক আকাশে।
আমরা আবার একসাথে রোদে পুড়ি, বৃষ্টি ভিজি আর জোৎস্না মাখি।
তুই তবে গানও শোনাস একটা, যদিও তোর গলাটা কিন্ত খুব ফ্যাসফ্যাসে।
ও তাই বুঝি! যা শোনাবো না গান।
তোর সঙ্গে আড়ি, আড়ি, আড়ি।
-লক্ষীটি সোনা বন্ধু আমার রাগ করিস না;
আচ্ছা বাবা! ফিরিয়ে নিলাম কথা, বলিস যদি কান ধরতেও পারি।
এমা, কাঁদিস না রে কাঁদিস না; এই দেখ কথা বলছি।
চলতো ওই গাছটা থেকে ফল পেড়ে খাই,
তুই ওঠ গাছে, আমি নীচে থেকে ফল ধরছি।
এইবার হাসতো একটু দেখি; আচ্ছা মনে আছে তোর?
এখন যদিও ভাবলে অবাকই লাগে;
তবু সেই বহু বহু বছরের আগে,
নষ্ট করেছি অযথা সময়! শুধু অকারণ অভিমান আর রাগে?
আজকে একটা দিন, চল সহজ ভাবেই থাকি;
কালকেই তো চলে যাবি তুই, আমায় একলা করে!
আজকের দিন হাসি অকারণ, ডানা মেলে ভাসি…
শুষে নিই যত আনন্দ আছে পৃথিবীর বুকে - তোর দুটি হাত ধরে।