রাক্ষুশি - আজীবনের
রাক্ষুশি - আজীবনের
অন্ধকার কুয়োর নীচে
রাক্ষুশি বসে আছে
বিস্মৃতির আগাছার তলায়
চাপা পড়ে গেছে !
তাকে বহুদিন কেউ দেখেনি
সে কুয়োর সবচেয়ে গভীরে বাস করে
কিন্তু মাঝে মধ্যেই
তার গোঙ্গানি,
তার কান্না,
তার অট্টহাস্য,
তার আর্তনাদ,
তার ডাক এবং শ্বাসপ্রশ্বাস
ওপরে কুয়োর পাশের
মানুষগুলোকে তিষ্ঠোতে দেয় না !
একে একে সব স্খলিত শাড়ি,
অনেক হাসি এবং
কিছু নগ্ন বিবস্ত্রার দল
ছুটে গেছে কুয়োর মুখে -
লাফিয়ে পড়েছে সকলেই -
চুরি, কাজল, দুল, শাড়ি সহযোগে
ওকে প্রাণপণে
টেনে - হিঁচড়ে বার করে আনার
অক্লান্ত চেষ্টাও করেছে !
আজ তাদের
কাজল, লিপস্টিক, আলতা
ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে গেছে
ক্ষয়ে গেছে
তবু আজও
কুয়ো থেকে বার করা যায়নি !
এমনকি -
দু- জোড়া শাখা-পলাও
ফেলা হয়েছিল কুয়োর মধ্যে
শয়তানির তাও ভ্রূক্ষেপ নেই !
কুয়োর পাশের ভিটেতে
আজও কেউ ঘুমোতে পারে না।
এমন একটানা এলোমেলো ফিসফিস
ভেসে আসে -
ক্রমাগত !
ওর মুখ আর মনে নেই কারো
বহুবছর আগে
সেই যে কুয়োয়ে নামল
সেই শেষ !
আর দেখা যায়নি ওকে !
কিন্তু ওর কণ্ঠস্বর আর শ্বাসপ্রশ্বাস
আজও ক্ষীণ দেহে
কাঁপুনি ধরিয়ে দেয় -
" আমি আজীবন পাশে থাকব "
কুয়োর তলা থেকে ভেসে আসল ,
আর হাসি, সেই হাসি -
এই দেখো -
গায়ে কাঁটা দিয়ে গেল !!!
