দানবী
দানবী
দানবী -
জানালার বাইরে ঘাপটি মেরে বসে আছে !
আমি চোখ বুঝলেই
ঢুকবে !
জানালার ফাঁক-ফোঁকর খুজে নিয়ে
কাল তরল হয়ে ঢুকে আসবে !
যদি কোনোভাবে
জানালার পথ আটকে দিই
তবে দেয়ালের ঘুলঘুলি দিয়ে ঢুকবে !
কিন্তু ঢুকবেই !
ঘুলঘুলি দিয়ে ঢুকে
ঘরের ছাদে
বাঁদুরের মতো উল্টো ঝুলবে !
তারপর হঠাৎ -
ঝুপ করে কখন
নীচে নামবে !
আমার পায়ের ধারে
খাটের তলায় থাকবে
কাল বিশ্রি দাঁত ওর,
সেই দাঁত দিয়ে কুঁড়ে কুঁড়ে
আমার পায়ের বুড়ো আঙ্গুল থেকে
খেতে সুরু করবে
আমি টেরও পাবো না!
ক্রমেই রক্তের গন্ধে
ঘর ম-ম করবে!
রক্তাত জামা-কাপড়-চাদর !
আচমকা
আমার ঘুম ভাঙবে
হাড় চিবনোর শব্দে -
চোখ খুলে দেখব
আমার বুকের ওপর বসে আছে,
চোখ লাল
আর কালো -
বাকি সব কালো -
আমাকে খেয়ে নিয়েছে অর্ধেক !
এখন বুকের ভিতরে হাত ডুবিয়ে
হৃৎপিণ্ডটা নিয়ে চটকাচ্ছে !-
আমার দিকে চেয়ে আছে
বুঝি হাসছে -
না,
চোখে বোধয় জলও দেখতে পেলাম !
কি জানি !
আমি তাকালাম আশেপাশে
আমার শিরা-উপশিরা,
চিবানো হাড় -
ছিন্নভিন্ন সব পড়ে আছে
এদিক-ওদিক !
কিন্তু আশ্চর্য -
যন্ত্রণা নেই!
আমার বুকের মধ্যে মুখ ডুবিয়ে
হৃৎপিণ্ডটাও খেয়ে নিল !
ব্যাথা নেই -
কিন্তু তাই কি একে বসতে দেব !
আমি ঝাঁকুনি দিয়ে উঠি
সরে না -
এবার আমার ঠোঁট খেতে শুরু করেছে
সব খেয়ে নেবে
তবে চোখ দুটো এখনও বাকি !
তাকাই -
ডানদিকে সুইচ
কোনক্রমে অবশিষ্ট ডানহাত বাড়াই
কোনভাবে আলোটা জ্বালি
যাক !
নেই !-
আলোয়ে থাকে না।
অদৃশ্য - !
কিন্তু ও মাটির তলায়
কিংবা জানালার বাইরেই বসে আছে!
আমি জানি -
চোখ বুঝলেই আসবে
এসে বাকি যা আছি
সব চেটেপুটে খেয়ে যাবে -
তাই জেগে বসে আছি !

