প্রেম তৃষ্ণা
প্রেম তৃষ্ণা
আমার বাড়ির ছোট্ট বাগানে বসিয়ে
ছিলাম একটা টকটকে লাল
গোলাপের গাছ,
যদিও ওটা তোমার কথা ভেবেই লাগিয়েছিলাম! গোলাপ ফুল তোমার যে..... খুব প্রিয় ছিল!
গাছটা আমার চোখের সামনে একটু
একটু করে বড় হলো, তার ডাল পালা
বিকশিত হল,অবশেষে গাছ
ভরে এল কুড়ি!
কিন্তু ততদিনে আমার জগৎ থেকে
তুমি অনেক অনেক দূরে দিয়েছ পাড়ি।
তোমার হাতে গোলাপ দিয়ে আমার আর বলা হলনা মনের কথা!
জীবনে কিছু কথা মনের গোপন কোনে জমা থেকে যায় , হয় না তা আর কখনও বলা!
কিন্তু আমি তো... চেয়েছিলাম বলতে চিৎকার করে বলতে, তোমায় ভালোবাসি খুব ভালোবাসি,
কিন্তু পারিনি! কোথাও একটা অদৃশ্য বেড়াজাল আটকে দিয়ে ছিল আমার বলার ক্ষমতা!
তাই চোখের সামনে দেখেছিলাম তোমাকে অন্যের হয়ে যেতে!
খুব কষ্ট হয়ে ছিল তবুও ছুটে যেতে পারিনি তোমার কাছে, বলতে পারিনি মনের কথা!
নোনা জলে ভরে ছিল আমার দু নয়ন,
হৃদয়ে অনুভব হয়েছিল আপনজন হারানোর তীব্র ব্যাথা।
নতুন কনের সাজে তোমাকে দেখতে
খুব সুন্দর লাগছিল সেইদিন!
গোধূলি লগ্নে যখন তোমার বিয়ের বৈদিক মন্ত্র আর শঙ্খধ্বনির আওয়াজ ভেসে বেড়াচ্ছিল দিকে দিকে,
আমি তখন নীরবে চোখের জলকে
ঝড়তে দিয়ে ছিলাম সবার অলক্ষ্যে।
আমার হৃদয় ভাঙ্গার যন্ত্রণায় সেই দিন
গোলাপ গাছটাও যেন কেমন মূর্ছা গেছিল!
ফুলগুলো ঝড়ে গিয়ে শুধু কাঁটা
অবশিষ্ট ছিল।
তুমি যখন মাথা ভর্তি সিঁদুর পড়ে নতুন বধুর বেশে কাঁদতে কাঁদতে পুরনো জীবনকে বিদায় জানিয়ে,
নতুন জীবনের পথে এগিয়ে চলে ছিলে!
তখন আমি আড়াল থেকে দুচোখ ভরে দেখেছিলাম তোমাকে শেষ বারের মত!
আর মনে মনে বলেছিলাম তুমি খুব... খুব... খুব... ভালো থেকো!
আমার ভালোবাসার গভীর সমুদ্রে তুমি
হলে উত্তাল ঢেউ,
আর আমি সেই সমুদ্রের বালিতে পড়ে
থাকা ক্ষুদ্র ঝিনুক।
নাইবা হলো আমাদের পথ এক!
নাইবা তোমাকে পেলাম নিজের করে!
তো... কি হয়েছে তুমি যে আছো আমার
সমস্ত হৃদয় জুড়ে।