প্রাক্তন
প্রাক্তন
চৈত্রের এক পড়ন্ত বিকেলে,
আকাশে ঘনিয়েছিল রুদ্রের জটার মত,
ঘন কালো অন্তহীন এক মেঘের ঘনঘটা।
তারই বুক চিরে অবাধ্য দামিনীর অট্যহাস্য,
জন্ম দিয়েছিল এক সদা চঞ্চল আবেগী নদীর।
তরঙ্গাকুল চলার পথে দুই পাড় করে কানাকানি,
অবাক বিশ্ব দু চোখে উপভোগ করে ওদের সখ্যতা,
নদীর বুকে তখন নুড়িদের কলকলানি,
সারাটা দিন জুড়ে দুই পাড় নির্নিমেষে চেয়ে থাকে-
সারাজীবন এমনিভাবে থাকার করে অঙ্গীকার।
রুক্ষ পাথরের বুকে সবুজের শিহরণ জাগিয়ে,
নাচতে নাচতে পাহাড় ডিঙোয় নদী,
নুপুরের নিক্কনে মুগ্ধ চারপাশ, অবাক বিশ্ব
দুই পাড়ের সখ্যতায়।
কুলুকুলু নদী এসে পরে সমতলে।
ব্যস্ত জীবনে আবেগের ঋণ বাড়তে থাকে,
পাল্লা দিয়ে বাড়ে দুই পাড়ের দূরত্ব।
কেজো কথার ভিড়ে হারিয়ে যায়
অন্তরের আন্তঃস্থলে থাকা পাখির কাকলি,
কর্তব্যের নিঠুর থাবায় হারিয়ে যায় দুটি মন।
আজ জীবন সায়াহ্নে পাশাপাশি দুটি মন
বাঁধা আছে শুধু অভ্যাসে, হারিয়ে গিয়েছে
প্রথম দিনের উচ্ছাস, চলার পথের উচ্ছল ছন্দ।
আজ প্রাক্তন হয়ে গেছে শুধু প্রথমদিনের প্রেম।