ফিরে এসো কবি একবার
ফিরে এসো কবি একবার


ফিরে এসো কবি
ফিরে এসো একবার
দিগন্ত জোরা খোলা মাঠ তোমায় ডাকে
রাঙামাটির মেঠো পথ তোমায় ডাকে
রিম্ ঝিম্ বর্ষা তোমায় ডাকে
ফিরে এসো কবি
ফিরে এসো তোমার ভারতবর্ষে
ফিরে এসো তোমার শান্তিনিকেতনে ।
আজকের খোলা জানলা দিয়ে দেখো
আজকের বটগাছ
সীমাহীন আকাশ থেকে নেমে আসুক আবার
তোমার সেই দিব্য প্রতিভা ।
হে কবি
আজ প্রকৃতি আবার দু-হাত বাড়িয়ে তোমায়
আহ্বান করে বলছে------
আমার ঐ
খোলা আকাশ খোলা বাতাস
পাখির কলতান,
নদীর সাথে জেগে উঠে
গায়ছে তোমার গান
ফাগুন হাওয়ায় শরৎ বেলায়
শিউলী ঝরা প্রভা
তোমার সুরের পরশ নিয়ে
সাজায় কত শোভা ।
আমার এই
সকাল দুপুর রাত্রি সূদুর
তোমায় নিয়ে সাথে
মনে মনে ফাগুন বেলা
তোমার ছবি আঁকে
এসো এসো ছোট্ট রবি
জানলা টি তে এসে
আমায় দেখে নতুন নতুন
কাব্য লেখো বসে ।
কবিবর
শীতের হিমেল রাত যে আজও তোমায় ডাকছে
একফালি চাঁদ আজও তোমার প্রতীক্ষায়
উঠোন ভরা রোদ আবার খেলতে চায়
তোমার সাথে
তোমার সুরে আবার পাপড়ি মেলতে চায়
নীরব কথারা।
ফিরে এসো কবি একবার
ফিরে এসো সোনারতরী বেয়ে
ফিরে এসো মানসী পূরবীর হাত ধরে
ফিরে এসো রাঙা মাটির পথে পথে
ফিরে এসো তারায় ভরা চৈত্র মাসের রাতে
দিব্য হাতে দীপ্ত গীতাঞ্জলি নিয়ে ফিরে এসো ।
আজকের অঙ্কুরিত বীজও ডেকেছে তোমায় কবি
ডেকেছে শুভ্র ভালোবাসায়
ডেকেছে গভীর আন্তরিকতায়
বলেছে ফিরে এসো ।
ফিরে এসো কবি আবার
মোদের সহজ পাঠে
জ্বালাও আবার কাব্য প্রদীপ
সবার ঘরে ঘরে ।
ব্যঙ্গমা আর ব্যঙ্গমী কে
পথ শুধিয়ে নিয়ে
পক্ষীরাজে চড়ে তুমি
আবার এসো ধেয়ে।
কবি শোনো মেঘলা দিনে
মন বসে না পড়ায়,
বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
মন বসে এই ছড়ায় ।
হে কবিবর---
যদি ফিরে আসো তবে দেখবে
কৃষ্ণচূড়া আর পলাশে এখন তোমার কবিতা লেখা
গোধূলির লাল আভায় দেখবে তোমার রাগ-রাগিনী
ভোরের মিতালী বাতাসে শুনবে তোমার গান
বর্ষা বীনায় এখনও শুনবে তোমার সুর।
ফিরে এসো কবি
ফিরে এসো তোমার ভারতবর্ষে
ফিরে এসো তোমার শান্তিনিকেতনে ।
কবি বর
আজ আবার
নব যুগের প্রগতি তোমায় ডাকে
নব সৃষ্টির চেতনা তোমায় ডাকে
মানবের প্রতি নিঃশ্বাস তোমায় ডাকে
মানবিকতার মন্ত্র তোমায় ডাকে
এই মহা বিশ্ব -প্রকৃতি তোমায় ডাকে ।
আমার মাতৃভাষা তোমায় ডাকে
আমার ভারত-আত্মা তোমায় ডাকে
ফিরে এসো কবি
ফিরে এসো একবার ।