ইচ্ছা করে
ইচ্ছা করে
ভালো আছো, প্রিয়?
জানতে বড়ই ইচ্ছা করে!
শেষ কলটা ধরা হয়নি আর
রাগ করো না যেন আবার।
জানি তুমি ভীষণ অভিমানী
হয় তো আমার উত্তরের অপেক্ষায়
সারাটা বেলা কাটিয়েছিলে উৎকণ্ঠায়।
বেলা শেষে গোধুলীর রাঙা ক্ষণে,
রক্তিম পলাশ আর কৃষ্ণচূড়ার ফাঁকে
সেই ধুলোমাখা বেঞ্চের এককোণে
ছিলে একাকী তুমি...
আমার প্রতীক্ষায়! জানি সেদিন
পড়েছিলে আসমানী পাঞ্জাবী
আর সাথে নিয়ে ছিলে...
আমার প্রিয় হরেক রঙের গোলাপ।
চলতি পথে চেনা-অচেনা জনের আলাপ, আর
প্রতিদিনের কাজের ভার ব্যস্ত করেনি তোমায়
যত না ব্যস্ত হয়েছো ঘড়ির কাঁটার দুরন্ত বেগে
এটাই বুঝি ছিল তোমার সুপ্ত ভালোবাসার আবেগে ।
তাই অভিমানগুলো ছিল খোলা জানালার মতো মুক্ত
আর প্রেমটা ছিল অন্তরে অন্তরে সম্পূর্ণ অব্যক্ত।
অবশেষে সন্ধ্যা নামে ক্লান্ত পাখির ডানা বেয়ে
তোমার চোখেও শঙ্কা বাড়ে অভিমানের চেয়ে।
আমি তখন অজান্তেই পারিজাতের দেশে
তোমার সাথে হয়নি দেখা গোধুলীবেলার শেষে ।
তোমার প্রতীক্ষার ধ্বনি বেজেছিল বহুবার
তবু শেষ কলটা ধরা হয়নি আর
প্রিয়, তোমায় ভালোবেসে ।
তবু ভালো আছো কিনা…
জানতে বড়ই ইচ্ছা করে।

