হে স্পার্টাকাস!আমরা হারলাম কেন?
হে স্পার্টাকাস!আমরা হারলাম কেন?
কবিতা নম্বর ৫
হে স্পার্টাকাস!আমরা হারলাম কেন?
মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা, স্পার্টাকাসকে
প্রশ্ন করেছিল এক সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধ।
আমরা তো চিরকাল লড়েছি
দুর্বলের হয়ে, স্বাধীনতার জন্যে,
বঞ্চনার অবসানের জন্য,
তাও আজ এই পরাজয়! কেন হে স্পার্টাকাস? কেনো?
স্পার্টাকাসের গা'থেকে
চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়া রক্তে
কেবলই লাল হয়ে যাচ্ছিল
সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধর সাদা কালো সোনালী রেখার চুল।
গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল।
স্পার্টাকাস তবুও বলতে চাইছিলো
কিন্তু বলতে পারলোনা-
'সত্য জিতবেই বলে তো আমরা সত্যের পক্ষে দাঁড়াই না!
বার বার সত্য হারে-
তত্ত্বের খোলস থেকে
যখনই সত্য রাস্তায় পা রাখে
গৌরবময় বীরগাথায়
স্থান পাওয়ার আগে
বহু বার , বহু বার সত্যের হত্যা হয়।'
সত্যকে যে মরতেই হয়।
অথচ "সত্যকে তো একাকী
মরতে দেওয়া কিছুতেই চলেনা!"
তার নিশ্চিত পরাজয়েও পাশে আমাকে অবিচল হয়ে দাঁড়াতে হয়।
কেবল তাহলেই অবজারভার গল্পও
আমার কবিতায় সত্য বাঁচবে,
বিজয় সংগীতেও বেজে উঠবে
সত্যের সুর।
সত্যের পক্ষেই আমাকে দাঁড়াতে হয়
আগামীর জন্য প্রজন্মের জন্য।
সত্যের মৃত দেহের থেকে
নবীন সত্যের চারাগাছ জন্ম নেবেই, একদিন না হয় অন্য দিন।
বেড়ে ওঠা সেই গাছের ছায়ায়
বেড়ে উঠবে আগামী দিনের সন্তানেরা
ওরাই একদিন সেই গাছের
অরণ্য গড়ে তুলবে।
হায়রে বোকা মানুষ
অরণ্যকে কি সহজে পরাজিত করা যায়?
স্পার্টাকাসও পরাজিত হয়েছিল।
শাসকের থুতু বর্ষিত হচ্ছিল।
কিন্ত বধ্যভূমিতেও
সত্যের পক্ষে ঋজু ছিলেন স্পার্টাকাস।
স্পার্টাকাস নিহত হয়েছিলেন।
উত্তর না শুনেও
বৃদ্ধ সেদিন ঘরে ফিরে গেছিলো
সমস্ত উত্তর নিয়ে ।
