গল্পের অঙ্ক
গল্পের অঙ্ক
স্কুলের সেই অংকের ক্লাস,
সর্বদা ছিল ত্রাস।
ক্লাস সিক্স থেকে এইট,
মনে হতো খুব টাইট।
এরপর হটাৎ করে পাটিগণিত, বীজগণিত
আর জ্যামিতির সঙ্গ দিতে,
কোথা হতে চলে এলো পরিমিতি
এবং ত্রিকোণমিতি!
মনে হতো করি যদি ফেল,
পিঠে পরবে তবে স্কেল।
এবার সঙ্গে নিয়ে ভয়
করলো অঙ্ককে পরাজয়।
ষাট পেয়ে করলো পাশ,
কিন্তু বাবা বললেন,
এই নম্বর নয় এমন খাস।
সঙ্গে মা'ও বললেন, ভুলেও নিস না
সাইন্স এবং কমার্স,
তোর জন্য পারফেক্ট কেবল আর্টস।
কিন্তু সে যে বড্ড একগুঁয়ে ও জেদি।
সবার অবাধ্য হয়ে নিলো বায়োলজি।
বাপরে!
ফিরে এলো আবার সেই অঙ্ক।
যাকে নিয়েই তো সব দ্বন্দ্ব।
এবার এলেন
ভদ্র,সভ্য,চার চোখ বিশিষ্ট ত্রাতা
পাশের বাড়ির সায়কদা।
শেখালো অঙ্কের সব কৌশল ও কায়দা।
এরই মাঝে হঠাৎ এলো ভালোবাসার সমন!
এবার মনকে কি'করে করে দমন?
এদিকে দুয়ারে পরীক্ষা মানে শিয়রে শমন।
এবার বোঝো অবস্থা'টা কেমন!
ভুলে সব দ্বন্দ্ব-দোটানা
বললে মনের কথাটা;
আবারও হয়ে এলো ত্রাতা,
তিতিরের সায়কদা।
বললো, আনতে পারিস যদি তারা
বলবো তোকে আমার মনের কথা।
মনে মনে করে প্রতিজ্ঞা,
এবার যে করেই হোক
অঙ্কের সাথে জমাতে হবে বন্ধুত্বটা।
এখন একসাথে তিতির ও ফর্মুলা
করে কেবল অপেক্ষায় প্রহর গণনা।
আর ভাবে কবে মিলবে গল্পের অঙ্কটা?