একটি তারার খোঁজে
একটি তারার খোঁজে


তারপর কেটে গেছে বহুদিন।
সময়ের ছন্দে নিজেকে
সাজিয়ে নিয়েছি নতুন ক'রে;
নিশ্চয়ই তুমিও করেছ তাই।
তবুও আজ একা ঘরে বসে বসে
হঠাৎ বুঝতে পারলাম-
দৃষ্টি হয়ে গেছে ঝাপসা,
তারপর ভিজে চোয়ালে ভা৺জ দিয়ে
হেসে উঠলাম।।
একদিন বুঝি এমনি এক
হাসির গভীরতা মেপেছিলে তুমি-
নীরবতার ভাষা সেদিন নীরব করেছিল
শত সহস্র মুখের ভাষাকে।
সেই দিনই বোধহয় প্রথম
চিনে ছিলাম তোমায়।
অনুভূতির গভীরে দুটি প্রাণীর
হৃদস্পন্দন গেয়েছিল যুগলবন্দী।
রাতের লক্ষ তারা এই রূপকথার গল্প
দেখেছিল নীরব দৃষ্টিতে।।
সময় বয়ে চলেছিল নিজের নিয়মে-
কেটে গেল কয়েকটা দিন, সপ্তাহ, মাস ...
আমার কা৺চা হাতে প্রথম কবিতা
লিখেছিলাম তোমায় নিয়ে;
তারপর একে একে আরও লিখলাম কত-
প্রতিটা স্তবকে নতুন ক'রে খু৺জেছি তোমায়;
টুকরো টুকরো কবিতাদের কোলাজে
তুমি হয়ে উঠছিলে অনন্য!
আজও তাই আছো।
কেবল পেরিয়ে এসেছি আরও কয়েকটা মোড়।
বিনিময় হল আরও কত কথা-
কিছু বা গানে,কিছ
ু বা কবিতায়,
কিছু বা হলনা বলা আবেগী নয়নের খাতিরে।
তারপর একদিন আমার সমস্ত কবিতা
নিয়ে গেলাম তোমার কাছে।
কিন্তু এত কবিতা পড়ার মতো সময়
তোমার ছিলনা সেদিন;
আমার কবিতা লেখার শখ
তোমার নিছক 'সময় নষ্ট' মনে হয়েছিল।
সেদিন আরও একবার নতুন ক'রে
চিনে ছিলাম তোমায়।।
তারপর..........
কেটেছে কত সপ্তাহ, মাস,
কেটেছে একটা বছরও।
আজও দেখতে পেলাম- অন্ধকার আকাশে
তারাদের উজ্জ্বল সংসার।
আদিম অকৃত্রিম সে উজ্জ্বলতা।
হঠাৎ মনে হলো- ওরা কেউ কারও
খুব কাছে আসেনি কোনোদিন
তাই ভয় নেই দূরে যাওয়ার।
কাছে গেলে ঝলসে দিত সব;
দূর থেকে কেবল শান্ত উজ্জ্বলতা অনুভব করি।।
হঠাৎ ঝড় উঠলো ভীষণ, গর্জে উঠল আকাশ
ঘোর গেল কেটে-
বজ্রের বেগে আবার
ফিরে এলাম একলা ঘরে।
চোখ মেলে দেখি-
ফুটেছে সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা,
ভোরের পাখিরা ঘুম ভাঙাচ্ছে
আনন্দ গান গেয়ে।
রাতের স্বপ্নেরা মুখ লুকিয়েছে
দূরে, বহু দূরে, বহু দূরে....... ।।