চরণধূলি
চরণধূলি
ধূলি ধূসরিত দুখানি চরণের ছবি আঁকি মনে মনে,
সুখ দুঃখ সদা খেলা করে যেন, অদেখা সেই আননে।
তুমি আসবে বলে এক পদ্ম ফুটেছিলো মনো সরবরে,
গোলাপী রঙটি তার আরো গাঢ় হয়েছিলো ধীরে।
সুদাস মালি, তোমাকে যে আমার আজও মনে পড়ে।
ফুল দেখে, ওলি কূল, আশে পাশে ঘোরাঘুরি করে,
কিন্তু সে পদ্ম যে রাখা আছে, শুধুই তোমারই তরে।
সময় বয়ে যায় তার মতোই, দিন মাস বছর ধরে,
অঘ্রান ফের এলো,শীত গেলো,বসন্ত এসেছে দুয়ারে।
কলি থেকে যে ফুল ফোঁটে একথা তো জানে সক্কলে,
জানেনা, ভোরের ফুল, কলি হতে পারে যে বিকেলে।
অনাঘ্রাতা থাকতেই পদ্মফুল ফোঁটে গভীর জলে,
জানি, সাঁতার কেটে আসবে, সে ফুল নিতে চাইলে।
প্রতীক্ষার সহস্র পল হয়েছে আজ সহস্র ফুল দল,
দিঘীর জল তো তাই আনন্দে,খুশীতে করছে টলমল।
এক একটি পাপড়ি কি করে যে ধরে নিজেকে মেলে,
সে কথাটা কি কেউ ভেবেছে? কখনও কোনোদিন !
দেখে ভালো লাগে কলি থেকে ফুল হয়ে ফুঁটে উঠলে।
সুদাস মালী তুমি যে আসবে বলে, কথা দিয়েছিলে,
আছে বিশ্বাস, দেবেনা আমায় অপাত্রের হাতে তুলে।
রাজা কিংবা ব্যবসায়ীর প্রলোভনের ফাঁদে পড়বেনা,
কিছুতেই এ ফুল তুমি প্রাণে ধরে বিকোতে পারবেনা।
জানি, তুমি আমায় প্রাণ দিয়ে ভালোবাসো মনে মনে,
দিলে দিতে পারো শুধু ঐ ভগবান বুদ্ধের দুটি চরণে।
তুমি আসবে, আসবেই জানি একদিন, এই জীবনে,
মিলন হবেই একসাথে, এ জীবনে, অথবা সে মরণে।
তোমার ছোঁয়ার পূণ্যে নিবেদিত হবো যে তাঁর চরণে !
এক কণা ধুলি, আশীষ হিসেবে নিশ্চয়ই পেয়ে যাবে,
তুমি তাই চেয়েছিলে এক জনমে, আছে তা স্মরণে !