বরফের ঠান্ডা ছুরি
বরফের ঠান্ডা ছুরি
টফি বা লজেন্স এর মতো একটা মোড়ক চাই,
সভ্য আর অসভ্যের মধ্যে তফাৎ কিন্তু শুধু এইটুকুই।
বাস্তব বা আসল সত্যকে তো অস্বীকার করা যায় না,
মানুষ জামাকাপড় পড়ে, আর চার পায়ে হাঁটে না।
পশুরাও নিজেদের ভাষায় কথা বলে, কিন্তু লেখে না,
মানুষ তো নিজেদের তৈরী সমাজে বাস করে,
কেউ কেউ নিজেরাই তা নোংরা করতে ছাড়ে না।
অসভ্য কথা বা "কোড ল্যাঙ্গুয়েজ" কে না জানে!
বড় হতে হতে মনে ঢুকে যায় কানে শুনে শুনে,
চাইলে এসবের ডিক্সনারী লিখতেই পারে গুণে গুণে।
কিন্তু সভ্য মানুষ মাথার কবরে এসব চাপা দেয়,
তবু যদি কখনও তা জোর করে বেরিয়ে আসতে চায়,
আছে তো বন্ধু-বান্ধব ভালোবাসার অতি নিকট জন।
যা খুশি বললেও কিছু মনে করবেনা তাদের মন।
বড়জোর ভাববে, "এক্কেবারে পাগোল একটা!"
তবু একই থাকবে অন্তরের ভালোবাসাটা।
সমাজের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে বা লেখক হয়ে,
স্যোসাল মিডিয়ায় খারাপ ভাষা ব্যবহার ঠিক নয়।
সিনেমায় খুব খোলামেলা পোষাক, আপত্তিকর দৃশ্য,
এসব জানিনা কতটা সেন্সর বোর্ড আটকায়।
দেখে দেখে অবোধ বাবা-মা সন্তানকে উৎসাহ দেয়,
বোঝেনা, যে এরকম পোষাক, রাস্তায় পরা ঠিক নয়।
কোনও কোনও সিনেমায় ব্র্যাকেটে (এ/A) লেখা রয়,
এখন প্রাপ্তবয়স্ক বা প্রাপ্তমনস্ক লেবেল থাকে লেখায়।
তবু এই নিয়মটা মন্দের ভালো, কারণ এড়ানো যায়,
এরকম কিছু লেখা না থাকলেই তো বেশী মুশকিল,
এ যেন একদম কিল খেয়ে খেয়ে, চুরি করা কিল।
বিশ্বাস করে লেখা পড়তে গিয়ে মানুষ হোঁচোট খায়।
প্রতিবাদ করতে গেলেও এক্ষেত্রে কোনো লাভ নেই,
"সব শেয়াল এর এক রা" কথাটা যে জানে সকলেই।
হাত উঁচু করে সজোরে চিৎকার করে গলা মেলায়,
এভাবেই মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে, আর পালায়।
লেখা পড়তে অজান্তেই সরল মনকে টেনে নিয়ে যায়।
তারপর পেছন থেকে অসভ্য ভাষার কঠিন শীতল,
বরফের ছুরি চালায়, জানে, গরমে প্রমাণ মুছে যায়।
তাই এরকম কান্ড দেখলেও মাথা ঠান্ডা রাখা চাই,
প্রশংসা তো দূরের কথা, পিঠ চাপড়ানো মোটেও নয়,
চিনতে আর বুঝতে পারলে নীরবে বয়কট করা চাই।
