বিসর্জন হয়ে গেছে প্রতিপদে
বিসর্জন হয়ে গেছে প্রতিপদে
বিসর্জন হয়ে গেছে প্রতিপদে।
আজো ভেসে যায় জবার মালা,
পচাপাপড়ি, বেলপাতা, দূর্বাঘাস।
ঘাটের ধারে প্রাচীন মন্দির,
ইঁট বার করা দুর্বল পাঁজরে
তরোয়ালের খোঁচা মারার মতো
যত্রতত্র গোঁজা পোড়া ধূপের কাঠি।
মন্দিরের স্যাঁতসেঁতে ঘরের জালিকাটা জানলায়
উঁকি মারে বিগ্রহ।
রক্তলাল ডাগর পাথুরে চোখে
নদীর নির্বিকার স্রোত দেখে।
বিসর্জন হয়ে গেছে প্রতিপদে।
ঢাক-ঢোল-কলরব সহকারে,
ব্যাণ্ডপার্টির পরিচিত বেসুরো সঙ্গতে
শোরগোল তুলে,
সোনালি রূপোলী রঙের
ঝকঝকে চকচকে আবরণে মোড়া
পটুয়ার অতুল কীর্তি,
একের পর এক ভক্তিরসের আরকে ভিজে
প্রতিমারা গেছে বিসর্জন।
যত রং ধুয়ে যায়,
যত জরি খসে পড়ে,
তত বেজে ওঠে ঢাক উন্মত্তরবে।
এখন সব শান্ত।
জানলায় উঁকি দিয়ে
দেখে যায় স্থবির বিগ্রহ--
ঘাটের ধারে দেওয়ালে
ঠেস দিয়ে সারি সারি দাঁড়িয়ে,
নদী থেকে তুলে আনা
বাঁশ আর পচা খড়ের কাঠামোগুলো।
হৃতগৌরব, বিকৃত--
যেন সলিলসমাধি হওয়া
বেওয়ারিশ পচাগলা লাশ!
টাটকা জবার মালা গলায় দুলিয়ে
বিগ্রহ দেখে যায়,
সবটাই--।।