বিশ্বসাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত
বিশ্বসাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত




বাংলার ইতিহাস করেছ উজ্জ্বল,
বিশ্বসাহিত্যে তুমি নক্ষত্র প্রাঞ্জল।
বাংলার ১২৬৩ সালের পঁচিশে বৈশাখ,
ঠাকুর পরিবার আলো করে জন্মিল রবীন্দ্রনাথ
কনিষ্ঠ সন্তান রূপে জন্মিলে তুমি,
বাঙ্গালীর গর্ব তুমি আমাদেরই রবি।
আট বছর বয়সে লিখলে অভিলাষ,
তত্ত্ববোধনি পত্রিকায় পেল তা প্রকাশ।
ভিখারিনি গল্পে ছোটগল্প লেখার শুরু,
কবিতা,নাটক ,গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাসের সর্বধারায় তুমি কবিগুরু।
রাখিবন্ধন উৎসব করলে প্রচলিত,
সম্প্রদিকতা ভুলে ভাতৃত্ববোধ জাগরিত।
১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে করলে নোবেল জয়,
গীতাঞ্জলির খ্যাতি আজও জগৎময়।
ভানুসিংহ ছদ্মনামে ছিল পরিচয়,
বাংলা সাহিত্যের তুমি আজও চিরও বিস্ময়।
জালিওয়ানাবাগ হত্যা কাণ্ডে করেছ গর্জন,
ব্রিটিশের দেওয়া নাইট উপাধি করে বর্জন।
মুক্ত শিক্ষার প্রতিষ্ঠান করেছ স্থাপন,
জগৎ জুড়ে বিখ্যাত আজ শান্তিনিকেতন।
ভারত বাংলাদেশে জুড়ে হও তুমি প্রত্যহ বন্দিত,
তাদের জাতীয় সঙ্গীত যে তোমারই রচিত।
বাংলা সাহিত্যের সর্বধারায় তোমার বিচরণ,
বাংলা সাহিত্যে আজও শূন্য তোমার ঐ আসন।
বাংলার ১৩৪৮ সালের ২২ শে শ্রাবণ,
বিদায় জানিয়ে তুমি করলে পরলোক গমন।
বিশ্ব ভুবনে আজও তোমারই জয়গান ,
সাহিত্যের ইতিহাস ভুলবেনা কভু তোমারই দান।
বিশ্বকবি রুপে তুমি চিরঅমর বিশ্ব অঙ্গনে,
প্রণাম জানাই তোমায় আজই আমার এই তুচ্ছ লিখনে।