অকাল শ্রাবণ
অকাল শ্রাবণ


এমনিতে শীতের বিকেল তার উপর সকাল থেকেই এমন অঝোর ধারায় বর্ষণ।
কিছুতেই লেপ কম্বল কে উপেক্ষা করতে পারছি না।
হাজার হোক ডিসেম্বরের শেষ তো!
তীব্র শীতে ডুবে আছি নস্টালজিয়ায়।
তবুও বৃষ্টির সাথেই সখ্যতাই বেশি,
ঠান্ডা কে উপেক্ষা করে ভিজে নিলাম এক অকাল শ্রাবণ।
ব্যাস আর কি? কাঁপুনি, সর্দি, কাশি।
এখন আপাদমস্তক কম্বল মুড়ি দিয়ে বসে
যেন সিমলায়, না না আলাস্কায়।।
কেবলই প্রহর গুনছি তোমার,
কি ভাবছো অনামিকার?
না না রোদ ঝলমলে আকাশের।
উঠলো যখন তোমার কথা বলেই ফেলি,
সত্যি কথা বলতে কি শীতের নামে তোমার কথাই বলার বাহানা খুঁজছিলাম।
গুটিয়ে রাখা লেপ টা কে জড়িয়ে ধরে তোমার স্পর্শ অনুভব করার চেষ্টা করছি।
আর গুন গুন করে গাইছি,
ওগো আমার প্রিয়ে কুন্তলিনী গো।।।
এখন তোমাতে আমাতে মিলে মিশে একাকার,
আলাদা করতে পারছিনা স্বয়ং সত্ত্বা কে।
আনমনে বসে জানলার গ্রিল ছুঁয়ে,
অবচেতনে চুমছি বৃষ্টির ফোঁটা গুলো কে, আর অনুভব করছি তোমার অধর স্পর্শ।
হয়তো এ অকাল শ্রাবণ থামবে একটু পরে, মুছে যাবে সব অনুভব।
কিন্তূ আমি চাইনা থেমে যাক এ শ্রাবণ, চাইনা হারিয়ে যাও আমার অনুভব থেকে।
এ শ্রাবণ আরও ঝরুক, ভাসিয়ে নিয়ে যাক সবকিছু,
তবু তুমি তো থাকবে আমার সাথে, আমার চেতনে, আমার অন্তরালে।।।