আধ্যাত্মিকতা আর ফুটবল
আধ্যাত্মিকতা আর ফুটবল
আধ্যাত্মিকতা আর - সাথে খেলা ফুটবল ,
এঁ সেকি ? এতে কোনো আছে নাকি মেল ?
সত্যিই আছে মিল, করো বিশ্বাস,
আধ্যাত্মিকতা ও ফুটবল, আছে সদৃশ ।
"ফুটবলের মাধ্যমে হও স্বর্গের কাছাকাছি ,
অনেক আগেই আমাদেরকে বলেছেন স্বামীজী" ।
‘তুমি আধ্যাত্মিক যাত্রার জন্য অযোগ্য,
তাই, মন আর শরীরের শক্তিকে করো যোগ্য ।
'খেলোয়াড় ও অন্বেষী' কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়,
দুজনেরই চাই খুব ধৈর্য এবং বেশ অধ্যবসায়।
'বল' টা আসলে নিজের 'অহংকার' কে ই বোঝায়,
দলের সদস্য, 'পরিবার, বন্ধুরা', তাদের সাথে আমরা যাই ।
সতীর্থদের উপর আস্থা সাহায্য করে অবশ্যই,
পরমানন্দে, সুখের এই ম্যাচে নিয়ে আসে জয়।
প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা হোলো বাধা,
রাগ, অহংকার, ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতা।
‘গোল পোস্ট’ টা যেন, চেতনা সার্বজনীন ,
সেখানে তোমার 'অহংকার' কে, করো সমর্পণ ।
কোচ, তিনি আমাদের ‘গুরু’, আমাদের শিক্ষা দেন,
মাঠে 'তার' ভুল থেকে একজন খেলোয়াড় শেখেন।
আর রেফারি? তিনি কর্ম এবং তার আইন,
খেলার জন্য, সঠিক নিয়মগুলিতে বিধান দেন।
দর্শক হল এই সমাজ, যে প্রতিক্রিয়া দেখায়,
মাঠে যে কোনো পারফরম্যান্সের পরেই।
প্রতিটি 'জীবন' যেন একটি 'গেম' আর, তাই,
যে খেলা যা শুরু হয়েছে, শেষ তো তা হবেই।
একজন খেলোয়াড় যতক্ষণ খেলায় মগ্ন থাকে,
সীমিত স্থান এবং সময়ের ততক্ষণ বিভ্রম থাকে।
প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মতো, মনোনীত ভূমিকা আছে সকলেরই,
ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার, আরও অনেক, অনেক কিছুই।
ফুটবল খেলা হল তাই, ধ্যান দৌড়ে দৌড়েই,
এই মুহূর্তে, এক খেলোয়াড়, পুরো সময়ের জন্যই।
একজন ভাল দর্শক খেলা দেখেন বিনা আনুগত্য,
তার জন্য, জয়-পরাজয় নেই, উত্তেজনা শুধুমাত্র ।
শ্রী পি ভেঙ্কটেশকে জানাই আন্তরিক অভিবাদন ,
আমাদের সাথে এই সুন্দর 'রূপক' ভাগ করার জন্য।
*******