সবুজের বাহুডোরে
সবুজের বাহুডোরে
চারিদিকে আলোর রোশনাই, হাসিঠাট্টা, কোলাহল, গানের কলিও মেতেছে সুরসঙ্গমে।
নীল বেনারসী, ভারী ভারী গয়নায় যেন সুনির্মল আকাশে ঝলমলে কিরণমালী!
নীল যে বড্ড প্রিয় ওর, তাই চিরাচরিত লাল বেনারসীকে মুখ ভেঙ্গিয়ে সাদরে নীলকে আপন করেছি।
এই মাহেন্দ্রক্ষণে যখন নীলপরিকে দেখে ওর চোখে খেলে যাবে বিদ্যুৎ,উফফ ভাবতেই শিহরিত হল মন।
হঠাৎ জানালার খোলা বুকে দেখলাম সবুজ যেন ডাকছে হাতের ইশারায়।
নিলাম পিছু, কখন যে পেছনের সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে দাঁত বেরোনো,
চটা ওঠা জীর্ণ দেওয়ালের ঘেরাটোপের সামনে এলাম বুঝতে পারলাম না।
চকিতে চমকে উঠলাম সবুজের ঠান্ডা স্পর্শে।
কি অপূর্ব লাগছে হিয়ে কমলা ধুতি পাঞ্জাবিতে!
আবেগ মেশানো ঠোঁট আমার ঠোঁটে মাখিয়ে দিতে চাইলে লজ্জিত ধাক্কায় দিলাম সরিয়ে নিজের থেকে।
অবুঝ হয়ে নাকি অভিমানে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে সবুজ ধীরে ধীরে।
যাসনা সবুজ, যাসনা!
হঠাৎ সানাই এর সুর পরিনত হল কান্নার রোলে, কানে এলো বরের গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে।
মনের ভার পারলো না সইতে শরীর।
হালকা হয়ে মাটিতে পড়তে গিয়ে মাথাটা সজোরে স্পর্শ করলো পাথরে নাকি সবুজের বুকে!
ভেসে যাচ্ছে সিঁথি রক্তে নাকি সিঁদুরে!
অর্ধমুদিত চোখের সামনে দেওয়ালে ফুটে উঠলো, দুটো অবয়ব -
পরস্পরের বাহুডোরে চুম্বনরত!