STORYMIRROR

ফারজানা সুলতানা হেনা

Romance Action Crime

3  

ফারজানা সুলতানা হেনা

Romance Action Crime

প্রতিশোধের মাঝে ভালোবাসার দেওয়াল❤️পর্ব -১

প্রতিশোধের মাঝে ভালোবাসার দেওয়াল❤️পর্ব -১

4 mins
61

.
.
.
— প... প্লিজ ছেড়ে দাও আমাকে।
— কেনো ? জীবনের মায়া হচ্ছে বুঝি ? জানিস তো ঠিক এভাবেই আয়ান চৌধুরী আর আরিশা চৌধুরীও জীবনের মায়া হয়েছিল। আর তোর কী কি মনে নেই যে খুব মিষ্টি একটা মেয়ে ঝিনুক, তারও তো জীবনের মায়া হয়ে ছিল। তোরা নরপশু তাঁদের মায়ার দাম দিয়েছিলি ? দিস নি। সেই মিষ্টি মেয়েটাকেও মায়া করিসনি। একে একে ১৮ জন মিলে সেই মিষ্টি মেয়েটার মুখের হাসি কেরে নিয়েছিলি।

প্রীতি একনাগাড়ে কথা গুলো বলে থামলো। প্রীতির আপন জন বলতে শুধু তাঁর ছোট ভাইয়া আরিফ আর ফুফু লামিয়া আহমেদ রয়েছে। এখন তাঁর সামনে হাটু গেড়ে বসে আছে জাফর। সে একজন উপদেষ্টা ।  প্রীতির মুখে বেশ ভালো ভাবেই আটকানো একটা ফেইস মাস্ক কালো রঙের। যার ফলে জাফর প্রীতির মুখটা দেখতে পারছে না। ঠিক তখনি সেখানে পুলিশ ও র‍্যাব পৌঁছায়। তারা প্রীতিকে বলে জাফরকে ছেড়ে দিয়েছি সেরেন্ডার করতে। প্রীতিতো নিজের ড্রেসের কোমর থেকে একটা ছুরি বের করে মাস্কের ভেতরে থেকে বাঁকা হেসে সোজা ছুরি একটা র‍্যাবের  হাতে ঢুকিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত পুলিশ আর র‍্যাব প্রীতির ওপর ক্রস ফায়ার শুরু করে। প্রীতি নিজে দায়িত্বে সরে গিয়ে একটা পুলিশকে মেরে তাঁর হাত থেকে রিভালবার নিয়ে সামনে পুলিশ, র‍্যাবদের  হাতে পায়ে আরো বিভিন্ন এমন জায়গায় গুলি করে যাতে তারা আহত হলেও নিহত যাতে না হয়। পুরো এতো বড়ো ২টিম। এতো জন থাকা সত্ত্বেও একটা মেয়ের সাথে কেও পারলোনা। একটা পর্যায়ে প্রীতি সুযোগ বুঝে জাফরকে খুব নৃশংস ভাবে খুন করে জানালা দিয়ে লাফিয়ে চলে যায়।

পুরো দেশে তোলপাড় লেগে গেছে। যে এ পর্যন্ত ৩ জন উপদেষ্টা , ১ জন মন্ত্রী মানে বাণিজ্য মন্ত্রী ও ১১ জন পুলিশ খুন হয়েছে।

— এক্সকিউজমি।
— ইয়েস।
— আমাকে একটা চকলেট কফি দিন।
— ok স্যার।
মিথিলা গিয়ে প্রীতির কাছে দাঁড়ায়।
প্রীতির একটি কফি সপ আছে। মিথিলা সেখানেই কাজ করে। প্রীতি আর মিথিলার মধ্যে প্রায় বোনের মতো সম্পর্ক।

প্রীতি কেশ কাউন্টারে বসে হাতে একটা মেয়ের  ফেমেলির ছবি দেখছে আর চোখের নানা জল ফেলছে।
মিথিলা : প্রীতি আপু। আর চোখের জল ফেলো না।
প্রীতি চোখ মুছে মুচকি হেসে বলে : শোন মিথু তুই কাস্টমারকে কফি দিয়েছি আয়। আর কাস্টমাররা চলে গেলে সাট ডাউন বোর্ড ঝুলিয়ে আমার কাছে আয়, কথা আছে।
মিথিলা : ঠিক আছে।
বলে মিথিলা একটা কফি নিয়ে কাস্টমারকে দেয়। কিছুক্ষন পর ধীরে ধীরে সব কাস্টমার চলে গেলে মিথিলা সাট ডাউন বোর্ড ঝুলিয়ে প্রীতির কাছে এসে বসে। প্রীতি কেশ বাক্সএর চাবি মিথিলার হাতে দিয়ে দেয়। মিথিলা অবাক হয়ে জিগ্যেস কোনো : প্রীতি আপু এটা আমাকে দিলে  কেনো ?
প্রীতি : আমি কাল বেরোবো
মিথিলা : ওহ বুঝেছি। আচ্ছা আপু তুমি নিজের খেয়াল রেখো। আর একটা একটা করে সবকটা জানোয়ারকে ভয়ঙ্কর মৃত্যু দাও।
প্রীতি : হুম। সবকটাকে ভয়ঙ্কর মৃত্যু দিবো। তারা আমার জীবন থেকে সুখ কেরে নিয়েছে।
দোকান বন্ধ করে প্রীতি মিথিলাকে তাও বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে নিজের বাড়িতে চলে যায়।
লামিয়া আহমেদ আজ প্রীতির পছন্দের খাবার রান্না করেছে। প্রীতি আর আরিফ ডাইনিং টেবিলে বসে।লামিয়া আহমেদ খাবার বাড়ছেন। খাবার বেড়ে নিজেও বসে গেলেন। সবাই খাচ্ছে। খেতে খেতে প্রীতি আরিফেকে উদ্দেশ্য করে বলে : কিরে লেখা পরা কেমন চলছে ? 
আরিফ : এই তো ভালো। ও হে আপু বলতে ভুলেই গেছি , পরের সপ্তাহে আমাদের কেম্পে যেতে হবে।
মুহূর্তেই যেন প্রীতির মুখটা গোমড়া হয়ে গেলো।
প্রীতি : ডাক্তারি পড়ছিস। কেম্প করতে যাচ্ছিস যা তবে প্রতি দিন আমায় ভিডিও কল করবি। ফুপ্পি তুমি বরং ওকে লাগেজ গুছাতে সাহায্য করে দিও। কাল আমার কাজ আছে।
লামিয়া আহমেদ যেন বুঝে গেলেন প্রীতির কাজটা।
আরিফ : কি কাজ আপু ? 
লামিয়া আহমেদ  : আহ, আরিফ খাওয়া সময় আর খোটা বলো না।
প্রীতি খাওয়া শেষ করে রুমে চলে গেলো। প্রীতির নেক্সট টার্গেট হলো খুব বড়ো একজন আই এস অফিসারের ওপর।
প্রীতি তাঁর কাবার্ড খুলে একটা সিম বের করে বাড়ির থেকেও অনেকটা দূরে একটা খোলা মেলা জায়গায় এসেপরে। সিমটা কাপড় দিয়েছি ধরে ফোন লাগায়। তাঁর পর সোজা ফোন লাগায় বড়ো মাপের মেইন একজন বিজীবি রিদানকে...
রিদান : hello.
প্রীতি : .....
রিদান : কে বলছেন ?
প্রীতি : তোর মৃত্যু।
রিদান : কে? কে? কে আপনি ?
প্রীতি : বললাম না তোর মৃত্যু। অবশ্য তোর ওই আই এস অফিসার আছে না জাবেদ। আগে তাকে টপকাবো তাঁর পর টার্গেট তুই।
রিদান : তু.. তুই সেই না য.. যে ৩ জন উপদেষ্টা তা... তাঁর পর ১ জন মন্ত্রী আ... আর ১১ জন পু.. পুলিশ অফিসারকে মেরেছে। ( ভয়ে ভয়ে বললো ) 
প্রীতি : বাহ্, নিজের মৃত্যুকে এতো তাড়াতাড়ি চিনে ফেললি। যাগ্গে আমি আগামী কাল আই এস অফিসার জাবেদ। ওই জানোয়ারকে মারবো। খুব নৃশংস ভাবে হত্যা করবো পারলে আটকে দেখাস।
বলে প্রীতি ফোন রেখে সিম বের করে তা ভেঙে ফেলে দেয় ঝোপের ভেতরে। আর বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পরে।

অন্যদিকে রদান ভয়ে কাঁপছে। কারণ যে কিনা এতো গার্ড থাকা সত্ত্বেও উপদেষ্টা, মন্ত্রী আরো ওপরের লেভেলের পুলিশদের মেরেছে সেখানে সে কি করে বাঁচবে।
রিদান দ্রুত জাবেদকে ফোন করে যাৰ খুলে বলে। যাবেদের তো ভয়ে কাঁপাকাঁপি অবস্থা।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance