প্রতিশোধের মাঝে ভালোবাসার দেওয়াল❤️( পর্ব - ২)
প্রতিশোধের মাঝে ভালোবাসার দেওয়াল❤️( পর্ব - ২)
।।
।।
।।
রিদান দেরি না করে আইন মন্ত্রী জাহিদ কে ফোন লাগায়।
তাকে সব বলার পর সে বলে : আচ্ছা ফোনে যেহেতু কথা বলেছো। কণ্ঠ কেমন ?
রিদান : স্যার মেয়ে কণ্ঠ।
জাহিদ : what......
রিদান : yes স্যার। কণ্ঠ শুনে বোঝাই যাচ্ছিলো যে মুখে কিছু চেপে ধরে কথা বলছিলো তাই আসল কণ্ঠটা শোনাক্ত করতে পারি নি।কিন্তু আমি 100% সিওর যে এটা কোনো মেয়ের কণ্ঠ ছিল।
জাহিদ : একটা মেয়ে কিভাবে এতো জন কে মারতে পারে।
রিদান : স্যার একটা জিনিস কি ভেবে দেখেছেন, যাদের যাদেরকে সে মেরেছে তারা সবাই আমাদের লোক। তারা সবাই আমাদের র্যাকেটের সাথে যুক্ত ছিল। আমি আর জাবেদ যুক্ত তাই আমাদেরও মারার হুমকি দিচ্ছে। স্যার,... স্যার আপনিও তো যুক্ত তাহলে কি এর পরে আপ....
জাহিদ : সাট আপ। কিচ্ছু হবে না। জাস্ট কুল।
রিদান : কিন্তু স্যার এবার আমাদের বাঁচাবে কে ?এতজন গার্ড থাকতেও ওই মেয়েটা বাকিদের মেরে দিয়েছে এবার কি হবে ?
জাহিদ কিছক্ষন ভেবে বললো : একজন আছে যে আমাদের বাঁচাতে পারে।
রিদান : কে স্যার ?
জাহিদ : আব্রাম খান।
রিদান : কি বলছেন স্যার। ও এলে তো আমাদের ব্যবসায় সমস্যা হবে। ও তো খুব বুদ্ধিমান একটা ছেলে। ও আমাদের ব্যবসা ধরে ফেলবে বলে আপনি ওকে শ্রীলংকাতে ট্রান্সফার করেছিলেন।
জাহিদ : হ্যা। কিন্তু বর্তমানে আমাদের প্রাণ বাঁচানো বেশি দরকার। আমাদের বিপদ কেটে গেলোই সে চলে যাবে আর এই কদিন আমাদের কাজ একটু অফ রাখতে হবে।
রিদান : স্যার মেয়ে তো একটা বাকি আছে। পার্টি তো বলছে একটাও নাকি কম নেবে না। অব্রাম স্যার আসার আগে যে করেই হোক মেয়ে গুলোকে পাচার করতে হবে।
জাহিদ : আচ্ছা ওই মেয়েটি থ্রেট দিয়েছিলি যে সে কালকে জাবেদকে খুন করবে আমি বরং এখনই অব্রাম এর সাথে কথা বলে নিচ্ছি যে এমার্জেন্সি ফ্লাইতে সে যেন এখনই রওনা হয়ে পরে তাহলে কাল সকালে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশে। আর শোনো কাজটা আপাতত আনকমপ্লিট রাখো। মেয়ে গুলোকে গোডাউনে বন্দি করে রাখো আর স্লোব লোকদের বলে দাও যাতে তারা সতর্ক হয়ে যায় কারণ অব্রামের চোখে একবার ধরা পড়লে সব শেষ।
রিদান : ok স্যার।
টু,, টু,, টু,, টু,, টু
জাহিদ কল কেটে অব্রাম কে কল দিলো.....
সকাল সকাল শ্রীলংকার প্লেন এসে বাংলাদেশে লেন্ড করে।
— এক্সকিউজমি আপনি কি অব্রাম স্যার ?
— yes, আপনি কি রাশেদ ?
— হ্যা,হ্যা স্যার আমি আপনার ড্রাইভার। আপনি আমার সাথে আসুন।
— হ্যা চলুন।
অব্রাম গিয়ে গাড়িতে বসে পড়লো। যাবেদের বাড়ির খুব কাছে একটা হোটেলে অব্রাম উঠে।
অব্রাম রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে রকিং চেয়ারে বসে মিযে নিজে বলে : আবারও পা রাখলাম বাংলাদেশে। তাকে কি করে ভুলি সে যে এখনো আমার মনে জায়গা করে বসে আছে। আমি তাকে খুঁজে বের করবো এবার।
অব্রাম নিজেকে ঠিক করে কয়টা ফাইল নিয়ে বসে।
অন্য দিকে জাবেদ বসে বসে ড্রিংক করছে নিজের রুমে বসে। বাইরে গার্ড দিয়েছি ভরা। হঠাৎ জাবেদ বারান্দা থেকে কিছু আওয়াজ হতেই জাবেদ বারান্দায় যায় কিছু না দেখতে পেয়ে যেই পিছে ঘুরবে দেখে একটা মেয়ে মুখে মাস্ক পোড়া হাতে রিভালবার তাঁর দিকে তাক করে রেখেছে। জাবেদ ভয়ে চিৎকার দিবে তখনি প্রীতি তাঁর মুখে রিভালবার ঢুকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে : একটা সাউন্ড করলে এখনই মেরে দিবো। যা রুমে গিয়ে বস। বলে জাবেদ এর কপালে রিভালবার ঠেকিয়ে বলে : জলি কর ওই চেয়ার তা টেনে বসে পর।
জাবেদ ভয়ে ভয়ে রুমে গিয়ে চেয়ার টেনে বসে পরে। প্রীতিও সামনে একটা চেয়ার টেনে বসে পরে তাঁর মুখমুখী।
প্রীতি : কেনো করলি এটা ?
অব্রাম ফাইল দেখে হঠাৎ মনে হলো জাবেদ কে দেখা জরুরি তাই সে ফোন সিসিটিভি ফুটেজ বের করলো যা সরাসরি যাবেদের রুমের মধ্যে আছে। কিন্তু অবাক করা বিষয় ফুটেজে কিচ্ছু দেখা যাচ্ছেনা। অব্রাম চিন্তায় পরে গেলো। সন্দেহ জনক বুঝেই রিভালবার নিয়ে দৌড়। জাবেদের বাড়ি এসে দেখে সব গার্ড বাইরে পাহারা দিচ্ছে।
অব্রাম : একই তোমরা বাইরে তাহলে ভেতরে কে ?
গার্ড : স্যার আমরা তো এৰাই বাইরেই গার্ড দিচ্ছি। স্যার বলেছে।
অব্রাম : ওহ সিট্, ডেম ইট।
বলেই জাবেদ এর রুমের দিকে গেলো। গার্ড রাও গেলো।
দরজার কাছে আসতেই অব্রাম তাঁদের থামিয়ে দিয়ে বলে : তোমরা কেও এসো না। বিপদ আছে। আমি যাচ্ছি ভেতরে।
বলে অব্রাম রিভালবার নিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে।
অব্রাম ভেতরে ঢুকে দেখে জাবেদ রক্তে মাখা মাখি অবস্থায় ফ্লোরে ছোটাছটি করছে তাঁর ঠিক সামনে একটা মেয়ে দারিয়ে আছে যার মুখে মাস্ক চল গুলো খোপা করা পরনে ব্লেক জিন্স আর ব্লেক জেকেট। হাতে রিভালবার।
অব্রাম কোনো কিছু না ভেবে প্রীতির দিকে রিভালবার তাক করে বলে : hand's up।
প্রীতি হাত থেকে রিভালবার ফেলে দিয়ে হাত উঠিয়ে
দাঁড়ায়।
অব্রাম : কেনো এসব করছো ?
প্রীতি : আপনি রকম আমার কিছু করেননি তাই আমি আপনাকে ছেড়ে দিচ্ছি। যাৰ ঝামেলায় নিজেকে জড়াবেননা।
এটা শুনে অব্রাম জোরে জোরে হাসতে লাগলো।
অব্রাম : তুমি আমায় ছাড়বে।লাইক সরিয়াসলি। হাসালে, তুমি বোধ হয় আমাকে চেনো না। আমার সামনে কেউ টিকতে পারে না তাই তুমিও পারবে না।
প্রীতি : কেনো পারবো না মেয়ে, তাই...
বলে সাথে সাথে প্রীতি অব্রাম এর হয়ে পাঞ্চ করে। হঠাৎ আক্রমন হওয়ায় অব্রাম এর হাত থেকে রিভালবার পরে যায় নিচে।
প্রীতি পাঞ্চ সিস্টেমে হাত উঠিয়ে বলে : লড়াই সমানে সমানে হোক।
অব্রাম বাঁকা হেসে বলে : ওহ ইয়া। অবশ্যই।
এর পরেই শুরু হলো দুজনের মধ্যে ফাইটিং। প্রীতি বাড়ি বাড়ি অব্রামের কাবু হয়ে যাচ্ছি লোক কিন্তু তবুও হাল ছেড়ে নি। একটা পর্যায়ে অব্রাম সুযোগ বুঝে প্রীতির মুখের মাস্ক টান দিয়েছি খুলে ফেলে। সাথে প্রীতির চুল গুলোও খুলে যায়। প্রীতি অব্রামের দিকে মাস্ক ছাড়া তাকাতেই অব্রামের পুরো পৃথিবী থমকে যায়।

