প্রেম
প্রেম
একটা সন্ধ্যায় আকাশে মেঘ গড়ে ছিল। বৃষ্টির ধারা পড়ছিল স্বপ্নপুরীর পাখির গানের মতো। ছোট্ট একটি বাসায় একজন মেয়ে আকাশের ছায়ায় পাঠানো পত্রের আগেই খুব মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েছিল।
পত্রে লিখা ছিল, "প্রিয় বিবাহিতা, আমি জানি তুমি এই পত্রটি পড়তে পেয়ে আমাকে একটু ভাল লাগবে। আজকের দিনটি স্মৃতি তোমার হবে কিনা আমি বলতে পারছিনা, কিন্তু আমি কষ্ট পাচ্ছি এই দিনটি তোমার অভাবে। এখনো আমি তোমার সাথে দেখা করেনি, কিন্তু তোমার ছবির আগেই আমার চোখে ছবি গড়ে তুলেছে। আমার প্রিয়া, আমার জীবনে তুমি এতই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে যে তোমার বিনা থেকে সেটা নিয়ে আমার দিন অসম্পূর্ণ থাকে।"
মেয়েটি একটি আঁধার মুখে লেখা পত্রের পিছনে চোখের জল বুঝে গেল। সে কেবল এইটাই চাইল, তার প্রেমীর হাতে লেখা পত্র এবং এই ভাষা যেটা কেবল তাকে সংক্ষেপে বুঝতো।
কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি বাইরে বের হয়ে এসেছিল। সেটা বের হয়ে এলে বৃষ্টি থেমে গেল। সব ওপরের মেঘগুলো সারাদিন ছিল আকাশে থাকবে যেন মেয়েটি পত্রের জন্য প্রতীক্ষা করছিল।
তারপর প্রেমিকের সন্ধ্যায় মেয়েটি একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বসে গেল। সে পত্রটি পড়তে পেয়েছে, এবং সে বুঝতে পেয়েছে যে সে এখন নিশ্চিতভাবে জীবনের একটি অংশ হিসেবে রয়েছে।
প্রেমিক একটি আঁধার মুখে লেখা পত্রের উত্তর পাঠানোর কথা স্মরণ করে হাসিতে হাসিতে চিঠি খুললো। পত্রে লিখা ছিল, "প্রিয়া, তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পত্তি। তুমি আমার জীবনের সূর্য, যেটা আমাকে সব দিকে উজ্জ্বল করে। আমি অসম্পূর্ণ ছিলাম তবে তুমি আমার জীবনকে পূর্ণ করে দিলে। আমি অপেক্ষা করছি একদিন আমরা আবার মিলব। তখন আমি তোমার দিকে হাঁটব, একটি দুরন্ত প্রেমের গল্পে আমাদের জীবনটি রচনা করব।"
পত্রটি পড়ে মেয়েটি নিজেকে বাস্তবিকতার মধ্যে পেয়ে গেল। তার মনে হয়েছিল তার প্রেমিক এখনো কথা বলছেনা, কিন্তু তার পত্র থেকে পুরো প্রেমের সময়টি চিঠি পাঠানোর জন্য কিছুটা পাওয়ার মতো হয়েছে। মেয়েটি হাঁটিয়ে যাচ্ছিল কেবল তার প্রেমিকের সম্পর্কে চিন্তা করে। তার প্রেমিক তাকে পাবে বলে একটা আকাশমন্দির কথা বলেছিল। এবং তাকে বলেছিল যে সময়ের গতি থেকে বের হতে পারে, কিন্তু তার প্রেমের সময় সর্বদা থাকবে।