STORYMIRROR

Rahul Sarkar

Romance

3  

Rahul Sarkar

Romance

I'm ম্যাচিউর

I'm ম্যাচিউর

5 mins
3



কথক- প্রত্যেক মানুষের জীবনে এক লুকোনো গল্পো থাকে, থাকে হেরে যাওয়া প্রেম, থাকে জিতে যাওয়া অভিমান। শেষ মুহূর্তের কিছু কষ্ট দেওয়া শব্দ থাকে, যা সারাজীবন পাথর বোঝাই এবড়ো খেবড়ো বস্তা মাথায় থাকার মতন। তেমনি একটা শব্দ ইমম্যাচুর যা ছেলেটাকে পুরুষ করে তোলে।

গল্পের শুরু আজ থেকে বছর চারেক আগে, তার আগে বলি বাবু মশাইয়ের জীবনে প্রেম বলতে ছোটো থেকে বন্ধু হয়ে বড়ো হওয়া, তারপর মেয়ের বিয়ের আগে বুঝতে পারা শুধু বন্ধুত্ব ছিলনা এটাকেই মর্ডান ভাষায়, যাই হোক আর কি মেয়ের বিয়ের আগের থেকে বাচ্চাদের মতো কান্নাকাটি করা ছেলের, নিজে বেকার একি বয়সি হলে যা হয় আরকি তবে ছেলের ইচ্ছে তাঁদের বিয়েতে চানাচুর মুরি খাওয়াবে হাহা, বাবু মশাই রাগ করে ওনার সাথে কয়েক বছর কথা বলিনি এনার রাগ পেট ভর্তি, তবে, থাক না গল্পো টা ধোঁয়াশা। মাস গড়িয়ে বছর হলো বাবু মশাই প্রেমে পড়লো এখোন প্রেমে পড়া এই শব্দ টার সাথে বেস পরিচিত। কলেজ বসন্ত, আবির, না বাবু মশাইয়ের এই পার্ট টুকু একটু আড়ালেই থাক। প্রেমে ভালো বাসা এসব ভুলে

খাওয়া ঘুম মাথায় তুলে কাজে মন দিয়েছে, এমনি এক সন্ধ্যা রাতে একটা ভয়েস ম্যাসেজ,

তৃষা- আমি আপনাদের সাথে কাজ করতে চাই।

কথক বাবু মশাই ভয়েস বেশ কয়েক বার শুনলো মন্ত্র মুগ্ধের মত, সে ভয়েস ম্যাসেজ ছাড়লো।

ত্রিয়াশ দেখুন আপনার আওয়াজ টা সত্যি অসাধারণ, ভয়েস, লেখা লেখি এটাই আমার কাজ, কিন্তু আপনাকে সব জায়গায় আপনার মানে আমদের কাজ

কে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তৃষা মাফ করবেন আমি WhatsApp ছাড়া কোথাও নেই।

ত্রিয়াশ আজ কাল কার মেয়ের ফেসবুক নেই?

তৃষা না নেই।

কথক তৃষা একটু রেগে অভিমানে কিছু একটা ভেবে যেনো বললো।

তাদের বন্ধুত্ব অনেক গভীর হলো, বেখালী ছেলেটা যে কিনা ঠিক মতো নিজের খেয়াল রাখতেই জানে না, কোথায় পার্স, কোথায় চোখের চশমা খুঁজে বেড়ায়, মেসের আনটি জামা প্যান্ট ধুয়ে দিলে কোথায় গেলো ভেবে ঢকির তল বালিশের নিচে এদিকে ওদিকে খুঁজতে থাকে সে রাখবে অন্যের খেয়াল ভেবেই হাসি পাচ্ছে, আপনিও এক গাল হেসে নিন। মেয়ে টা বেশ মিষ্টি জানেন তো ওনার অ্যাড্রেস এ মাসে একটা হলেও চকলেটের প্যাকেট আসতো, স্ত্রীয়াশ কি খেয়াল রাখবে উল্টে তৃষা তার খেয়াল রাখতো। রোদ বৃষ্টির জন্যে হাতা, শীতে ঠান্ডা জলে যান করে বলে হিটার, আর দেখা হলে গোলাপের সাথে একটা করে চাবির রিং, ত্রিয়াশ ভাবতে থাকে তো মেসে চাবির রিং দিয়ে কি করবে আর তৃষা চাবির রিং দেয় কেনো যাইহোক এই উত্তর টা আমারও অজানা।শুনুন মেয়ের কান্ডো, জন্মদিনে ছেলের রুমে কেক হাজির, সাথে চকলেট। ছেলে মিষ্টি খেতে ভালো বাসে বলে খাদ্য খানেক মিষ্টি কিনে দেওয়া, এমন মেয়ে কে ভালো না বেসে থাকা যায় বলুন, আমি ছেলে হলে কবেই প্রেমে পড়ে যেতাম। কিন্তু এই ছেলেটা একদম বুন্ধু। নিজের মতো থাকে সে খুব সুন্দর লেখে আর যে কোনো শব্দ দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সুন্দর কবিতা বানিয়ে বলতে পারে তৎক্ষণাৎ। বাবুমশায় তৃষা কে দেওয়া বলতে কবিতা লিখে উপহার দিতো ওই যা। জানেন তো দু জন দুজনের থেকে অনেক দূরে থাকতো। কিন্তু ভাগ্যের কি সাথ দেখুন......

ত্রিয়াশ-তৃষা? বলো what! আমি যে কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছি, সেখান থেকে তোমায় দেখতে যাওয়ার দূরত্ব মিনিট দশেক।

তৃষা কবে জয়েনিং আমি সেদিন দেখা করবো, মিষ্টিটা আমি খাওয়াবো।

কথক তৃষা বিয়াশের জয়েনিং এর দিন সারা সন্ধ্যে অব্ধি কোম্পানির বাইরে, সেদিন বাড়ি যেতে ওর দেরি হয়ে গেলো, বাবুমশাইয়ের জন্যে মিষ্টি উনি উন্টে খাইয়ে ছিলেন, দেখেছেন কথায় কথায় বলাই হয়নি মেয়ে কিন্তু চাকরি করে বাবু মশাইয়ের সাথে পরিচয়ের আগে থেকেই। শুনুন বাবু মশাইয়ের মনে লাড্ডু ফুটে গেছে সে মনে মনে ভেবেছে পড়াশোনা বাড়ির লোন সব দু বছরের মধ্যে ঢুকিয়ে বাড়িতে জানাবে।

উনি সব খুলে বলেন তৃষা কে। দুজনের সময়, না থাক, না কিছু টা বলি নজর দেবেন না। এই বাবুমশাই যে এতো রোম্যান্টিক এটা ভাবার বাইরে মেয়ের জন্যে মাথার ফুল, চোখের কাজোল, রোজ গোলপ, কানের দুল, পায়ের আঙুলের থাক থাক, আর বলবনা তবে ছেলে একা নয় মেয়েও মিষ্টি খাওয়াতো হাহা ফুচকা এটা ওটা মেয়েরি

খরচা কিনতু সব।

মেয়ের কন্ঠ চর্চা চলছে নতুন নামিদামি জায়গায়, ধীরে ধীরে দিন গেলো, অনেক মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হোলো মেয়ের, অফিসে যাওয়ার আসার সময় টুকু হয়তো অন্যকারো, দেউ সময় ধীরে ধীরে মুছলো ত্রিয়াশের কাছ থেকে। কারন গুলো অজনা, নতুন বন্ধু বান্ধব এর গন্ধ চারিদিকে, হুম সে হতেই পারে, হঠাৎ একদিন তৃষা ফোন করলো বাবুমশাই কে।

তৃষা বিয়াশ?

ত্রিয়াশ আরে বলো তোমার কথাই ভাবছিলাম আর তোমার ফোন, যদিও সারাদিন তুমি মনে, হাহা নতুন করে আর কি বলি?
তৃষা I need Some Space! কথা বলাটা বন্ধকরতে হবে। সরকার ছাড়া আমায় ফোন না করলে খুশি হবো।

ত্রিয়াণ মানে?

তৃষা- এই কয়দিনে বুঝেছি তুমি বেস ইমম্যাচিওর একটা ছেলে আমার সাথে যায়না।

কথক বানুমোশাই ধাক্কা টা নিতে পারেনি, কথায় আছে তখনি কারোর সাথে কথা কমে যখোন নতুন কারোর সাথে কথা বারে। তারপরেও বেশ কিছুদিন তাকে দেখার আশায় বাবু মশাই দুটে যেতো, তুষা নানা ভাবে দেখা হলে কথা শোনাতো, হঠাৎ ভূষার WhatsApp ত্রিয়াশ দেখে। প্রতি মিনিটে সকাল থেকে সন্ধ্যে, জিজ্ঞাসা করলে হঠাৎ করে প্রোফাইল পিকচার সাদা হয়ে যায়, বুঝতে পারে সে ব্লক। ইম ম্যাচিওর বাবু মশাই ফেসবুকে যায় সুন্দর ম্যাসেজ থেকে অচেনা শব্ন্দরা ভিড় করে। তার পর আর সেখানেও তাকে দেখা যায়না, সেই দিন যেই বন্ধুটা ফেসবুক খুলে দিয়েছিলো আজ সেই বন্ধুটাই এক এর খাতায় নাম লেখালো।

ছেলেটার স্বপ্ন তাকে নিয়ে ভাবা কতো কিছু তাকে আর বলার অধিকার রইলো না। আর বলতে পারবে না 11 বাবু মশাই দীর্ঘ মাস পেরিয়ে এখোন কিছুটা সুস্থ।

ও আমার পরিচয়? আমি ডক্টর দেখারমি বাবু মশাইয়ের অনেক কাছের মানুষ, আমি পেশায় হৃদরোগ বিশষজ্ঞে, এতো দিন বহু মানুষের সাথে মিশেছি

চিকিৎসা করেছি। এটুকু বলতেই পারি যে এতো কষ্টেও লড়াই করছে, নিজের পরিবারের জন্যে, সবার মুখের হাসির জন্যে সে ইম ম্যাচিওর হতেই পারেনা। আমি নিজে একজন মেয়ে হয়ে বলছি। মানুষটার মান আর হুশ আছেই বলেই এক গাল হেসে অপমান গিলে ফেলতো সেগুলো আড়ালেই থাকা টাই শ্রেয়। নাহ কারের ওপর দোষ চাপানোর জন্যে বলা নয়, ভালো লাগা পরিবর্তন হতেই পারে, সম্পর্ক শেষ হতেই পারে তবে কিছু শব্দ সত্যি সামনের মানুষটিকে অনেক কষ্ট দেয়। সেই মা জানে অনেক বছর পর মা ডাক

শোনার পর, কোল থেকে শিশু কেড়ে নিয়ে তার সামনে কেও গলা টিপে মেরে ফেললে সেই মায়ের কষ্ট টা, সেই মা ছাড়া আর কেও উপলব্ধি করতে পারেনা।

(সমাপ্ত)


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance