I'm ম্যাচিউর
I'm ম্যাচিউর
কথক- প্রত্যেক মানুষের জীবনে এক লুকোনো গল্পো থাকে, থাকে হেরে যাওয়া প্রেম, থাকে জিতে যাওয়া অভিমান। শেষ মুহূর্তের কিছু কষ্ট দেওয়া শব্দ থাকে, যা সারাজীবন পাথর বোঝাই এবড়ো খেবড়ো বস্তা মাথায় থাকার মতন। তেমনি একটা শব্দ ইমম্যাচুর যা ছেলেটাকে পুরুষ করে তোলে।
গল্পের শুরু আজ থেকে বছর চারেক আগে, তার আগে বলি বাবু মশাইয়ের জীবনে প্রেম বলতে ছোটো থেকে বন্ধু হয়ে বড়ো হওয়া, তারপর মেয়ের বিয়ের আগে বুঝতে পারা শুধু বন্ধুত্ব ছিলনা এটাকেই মর্ডান ভাষায়, যাই হোক আর কি মেয়ের বিয়ের আগের থেকে বাচ্চাদের মতো কান্নাকাটি করা ছেলের, নিজে বেকার একি বয়সি হলে যা হয় আরকি তবে ছেলের ইচ্ছে তাঁদের বিয়েতে চানাচুর মুরি খাওয়াবে হাহা, বাবু মশাই রাগ করে ওনার সাথে কয়েক বছর কথা বলিনি এনার রাগ পেট ভর্তি, তবে, থাক না গল্পো টা ধোঁয়াশা। মাস গড়িয়ে বছর হলো বাবু মশাই প্রেমে পড়লো এখোন প্রেমে পড়া এই শব্দ টার সাথে বেস পরিচিত। কলেজ বসন্ত, আবির, না বাবু মশাইয়ের এই পার্ট টুকু একটু আড়ালেই থাক। প্রেমে ভালো বাসা এসব ভুলে
খাওয়া ঘুম মাথায় তুলে কাজে মন দিয়েছে, এমনি এক সন্ধ্যা রাতে একটা ভয়েস ম্যাসেজ,
তৃষা- আমি আপনাদের সাথে কাজ করতে চাই।
কথক বাবু মশাই ভয়েস বেশ কয়েক বার শুনলো মন্ত্র মুগ্ধের মত, সে ভয়েস ম্যাসেজ ছাড়লো।
ত্রিয়াশ দেখুন আপনার আওয়াজ টা সত্যি অসাধারণ, ভয়েস, লেখা লেখি এটাই আমার কাজ, কিন্তু আপনাকে সব জায়গায় আপনার মানে আমদের কাজ
কে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ত্রিয়াণ মানে?
তৃষা- এই কয়দিনে বুঝেছি তুমি বেস ইমম্যাচিওর একটা ছেলে আমার সাথে যায়না।
কথক বানুমোশাই ধাক্কা টা নিতে পারেনি, কথায় আছে তখনি কারোর সাথে কথা কমে যখোন নতুন কারোর সাথে কথা বারে। তারপরেও বেশ কিছুদিন তাকে দেখার আশায় বাবু মশাই দুটে যেতো, তুষা নানা ভাবে দেখা হলে কথা শোনাতো, হঠাৎ ভূষার WhatsApp ত্রিয়াশ দেখে। প্রতি মিনিটে সকাল থেকে সন্ধ্যে, জিজ্ঞাসা করলে হঠাৎ করে প্রোফাইল পিকচার সাদা হয়ে যায়, বুঝতে পারে সে ব্লক। ইম ম্যাচিওর বাবু মশাই ফেসবুকে যায় সুন্দর ম্যাসেজ থেকে অচেনা শব্ন্দরা ভিড় করে। তার পর আর সেখানেও তাকে দেখা যায়না, সেই দিন যেই বন্ধুটা ফেসবুক খুলে দিয়েছিলো আজ সেই বন্ধুটাই এক এর খাতায় নাম লেখালো।
ছেলেটার স্বপ্ন তাকে নিয়ে ভাবা কতো কিছু তাকে আর বলার অধিকার রইলো না। আর বলতে পারবে না 11 বাবু মশাই দীর্ঘ মাস পেরিয়ে এখোন কিছুটা সুস্থ।
ও আমার পরিচয়? আমি ডক্টর দেখারমি বাবু মশাইয়ের অনেক কাছের মানুষ, আমি পেশায় হৃদরোগ বিশষজ্ঞে, এতো দিন বহু মানুষের সাথে মিশেছি
চিকিৎসা করেছি। এটুকু বলতেই পারি যে এতো কষ্টেও লড়াই করছে, নিজের পরিবারের জন্যে, সবার মুখের হাসির জন্যে সে ইম ম্যাচিওর হতেই পারেনা। আমি নিজে একজন মেয়ে হয়ে বলছি। মানুষটার মান আর হুশ আছেই বলেই এক গাল হেসে অপমান গিলে ফেলতো সেগুলো আড়ালেই থাকা টাই শ্রেয়। নাহ কারের ওপর দোষ চাপানোর জন্যে বলা নয়, ভালো লাগা পরিবর্তন হতেই পারে, সম্পর্ক শেষ হতেই পারে তবে কিছু শব্দ সত্যি সামনের মানুষটিকে অনেক কষ্ট দেয়। সেই মা জানে অনেক বছর পর মা ডাক
শোনার পর, কোল থেকে শিশু কেড়ে নিয়ে তার সামনে কেও গলা টিপে মেরে ফেললে সেই মায়ের কষ্ট টা, সেই মা ছাড়া আর কেও উপলব্ধি করতে পারেনা।
(সমাপ্ত)

