#Forced_Love #Part_1
#Forced_Love #Part_1
'রশনির' সামনে মারা হচ্ছে এক ছেলেকে। ছেলেটির দোষ ও রশনির দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকিয়েছে।রশনি এটা দেখে ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে।ছেলেটিকে অাধামরা করে ছেড়ে দিয়ে 'আধার' তার লোকদের ইশারা করলো ছেলেটিকে নিয়ে যেতে।
তারপর আধার রশনির সামনে এসে দাড়ায়।
রশনি আধারের দিকে তাকিয়ে আতকে ওঠে
কারণ রাগের কারণে সাদা চেহারাটা লাল হয়ে হিংস্র রূপ ধারণ করেছে।আধার রশনির হাত ধরে টেনে গাড়ির দিকে হাটা শুরু করে। আর রশনি ভয়ে কিছু বলতেও পারছে না।গাড়িতে রশনিকে বসিয়ে আধার ড্রাইভ করছে।আধার তার সব রাগ স্ট্রায়ড়িং এর উপর ঝারছে।
আর এদিকে রশনি কিছু সময় আগের ঘটনা মনে করছে।
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''১ ঘণ্টা আগে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
রশনি তার বান্ধবী 'রুহি' ও 'রোজ' এর সাথে কথা বলতে বলতে ক্যানটিনের দিকে যাচ্ছে
রুহিঃবইন লাইফটা ত্যানাত্যানা হইয়া গেলো এই ক্লাস করতে করতে ।
রশনিঃআসলেই।আজকে আর ক্লাস করতে মনটা সারা দিচ্ছে না।চল না কথাও ঘুরতে যাই।
রুহিঃYes baby চল।
রোজঃএই না আজ না।তোরা এত ফাঁকিবাজি কেমনে করস
রশনিঃশোন ফাঁকিবাজি করতেও ট্যালেন্ট লাগে ।(ভাব নিয়ে)
রোজঃইস কি ট্যালেন্ট।(মুখ ভেঙ্গিয়ে)
রুহিঃহইসে বিদ্যাসাগরের নাতনি।চুপচাপ আমাদের সাথে চল।না হলে একটা মাইরও নিচে পরবে না।
রোজঃআমি কিচু বলব না।
রশনিঃOk চল পাশের park এ যাই।
রুহিঃহমম চল।
রোজঃ
তারপর তিনজন মিলে park এর উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
(তিনজন park এ যেতে থাকুক আর আমরা তাদের পরিচয় যেনে আসি।
রশনি দেখতে যেমন মিষ্টি তেমন দুষ্ট।রশনির চোখ দুটি টানা টানা বড় বড় চোখের মণি ডার্ক ব্রাউন,ঠোঁট হালকা গোলাপি আার ঠোঁটের নিচে একটা ছোট তিল আাছে,উচ্চতা ৫.৩ ইঞ্চি,আর চুল কোমড় অবধি,গায়ের রং একটু চাপা।রশনি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
তার দুই bestu হলো রুহি আর রোজ।
রুহি হক, বাবা রিশান হক, মা জিয়া হক।রুহি শ্যাম বর্ণের কিন্তুু দেখতে অনেক মায়াবী বিশেষ করে ওর চোখ যে দেখবে সেই আটকে যাবে ওর চোখের মায়ায়।কিন্তু রুহির রাগ অনেক আর খুব কম হাসে।
রোজ হলো এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ও ব্রিলিয়ান্ট।রোজ এর গায়ের রং ধবধবে সাদা আর চোখে একটা গোল ফ্রেমের চশমা।রোজ দেখতে অনেক সুন্দর।)
তিনজন Park এ একটা বেঞ্চে বসে নিজেদের মধ্যে গল্প করতে থাকে। কতক্ষণ পর ওদিকে একটা ফুচকা ওয়ালা আসে। আর তারা তিনজন ফুচকা খেতে যায়।
রুহিঃ মামা তিন প্লেট বেশি ঝালওয়ালা ফুচকা দিয়েন।
কতক্ষণ পর ফুচকা ওয়ালা তিন প্লেট ফুচকা দেয়। আর তারা তিনজন ফুচকা খেতে লাগলো। ওরা যেখানে ফুচকা খাচ্ছিল তার কিছুটা দূরেই কয়েকটা বখাটে ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা খুব বিশ্রীভাবে রশনিদর দিকে তাকিয়ে ছিল। আর বাজে মন্তব্য করছিল।আর তখনি ওইখােন আমাদের হিরো আধার এসে উপস্থিত হয়।আর এদের কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে আর তার লোকদের ইশারা করে ওই ছেলেটাকে তার গোডাউন এ নিয়ে যেতে যে খারাপ মন্তব্য করছিল।আর সে রশনিদের কাছে এসে উপস্থিত হয়।
এদিকে রশনি তো আধারকে দেখে অবাক সে এইখানে তাকে এই সময় আশা করে নি।
আধার রশনির হাত ধরে সেখান থেকে টেনে তার সাথে গোডাউন এ নিয়ে যায়।আর তারপরের ঘটনা তো সবাই জানেন নি।
Flashback and Now-
আধার এর কথায় রশনির হোশ ফিরে এবং বর্তমানে ফিরে আসে।
আধারঃতো "সানসাইন" এখন কি বাসায় যাবে নাকি ইউনিভার্সিটি যাবে।
(এই নামেই আধার তার রশনিকে ডাকে)
রশনি হা করে তাকিয়ে আছে, কেউ বলবে এই ছেলে একটুু আগে এত রেগে ছিল।
রশনির এমন ভাবব্যক্তি দেখে কিছুটা আধার বুঝতে পারছে যে সে কি ভাবছে তাই দুষ্টুমানি করে বলে
আধারঃ সানসাইন এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে তো আমর নজর লেগে যাবে ।(লজ্জা পাওয়ার এক্টিং করে)
রশনি তারাতাড়ি চোখ সরিয়ে অন্য দিকে তাকায়।আর আমতা আমতা করে বলে
রশনিঃআমি কেনো তাকাতে যাবো আপনার দিকে।
আধারঃকারন আমি দেখতে অনেক হ্যান্ডসাম তাই।(কিছুটা ভাব নিয়ে)
রশনিঃহাহ আপনি আর হ্যান্ডসাম।(মুখ ভেঙ্গিয়ে)
আধারঃ এই একেবারে মুখ ভেঙ্গাবে না।তুমি জানো আমি হাজার মেয়ের ক্রাস।
রশনি একটু ভালোভাবে আধার এর দিকে তাকিয়ে করে মনে মনে ভাবতে লাগল (আসলেই ছেলেটা সেই লেভেলের কিউট।ধবধবে সাদা, গোলাপি ঠোঁট, আকাশি আর ধূসর রঙের মিক্স চোখ, সিল্কি চুল, আর জিম করা বডি, যাষ্ট মাশাল্লাহ। )
রশনিকে কিছু ভাবতে দেখে আধার একটু ধাক্কা দিয়ে বললো
আধারঃআবার ও আমার ভাবনায় ডুব দিলে।হায় এত ভালোবাসা কোথায় রাখবো।।(দুষ্ট হেসে)
রশনি:হুহ ঢং। যাইহোক আমি বাসায় যাবো।
আধার একটু হেসে ড্রাইভিং এ মন দিল।তারপর আর দুজনের মধ্যে কোন কথা হয়নি। রশনির বাসার সামনে গাড়ি থাকতেই রশনি আধারকে কিছু না বলেই নামতে নেয় কিন্তু হাতে টান অনুভব করায় ঘুরে দেখে আধার হাত ধরে বসে আছে। রশনি ভ্রু দুটি নাচাল যার অর্থ 'কি'?
আধারঃতুমি আমাকে কিছু না বলেই চলে যাচ্ছিলে।
রশনিঃতো কি বলবো।(ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
আধার একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে রশনির কপালে একটা কিস করে বললো
আধারঃআল্লাহ হাফেজ।
রশনিঃআল্লাহ হাফেজ।
এই বলে রশনি তার বাসায় চলে গেল।
আর এদিকে আধার মনে মনে ভাবছে
আধারঃকেন রশনি কেন, কেন তুমি আমার ভালোবাসা বুঝতে পারো না হুয়াই।
এই বলে স্ট্রায়ড়িং এ একটি বারি দিয়ে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে নিজেকে শান্ত করে চলে যায় নিজের গন্তব্যে।
(To_be_continued......)

