#Forced_Love #Dangerous_Love
#Forced_Love #Dangerous_Love
রশনি দৌড়ে এসে রুহি আর রোজ এর সামনে দাড়িয়ে দুই হাত হাটুতে রেখে কিছুটা নিচে ঝুকে হাপাতে থাকে। তারপর সোজা হয়ে দাড়ায়।রুহি আর রোজ অবাক চোখে তাকিয়ে আছে রশনির দিকে।
রুহিঃকিরে তোর কি হলো 'লাইট' এভাবে হাপাচ্ছিস কেন?
রশনিঃআরে আর বলিস না 'আত্মা' একটা খারুসের সাথে দেখা হয়েছিল।
রোজঃমানে?(অবাক হয়ে)
তারপর রশনি তার আর আধারের সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা রোজ আর রুহিকে বললো।রুহি আর রোজ সব শুনে
রোজঃএকটা মানুষ তোকে হ্যাল্প করল আর তুই তাকে খারুস উপাধি দিলি।
রশনিঃশোন 'গোলাপ' ওই খারুসটা আমার সাথে খারুসামানি করেছে তাই ওকে খারুস উপাধি দিয়েছি, বুঝেছিস
রোজঃহুম বুঝেছি।
রুহিঃতোদের বুঝা বুঝি শেষ হলে ক্লাসে যাওয়া যাক অনেক লেট হয়ে গিয়েছে।
রশনি রোজঃচল।
তারপর তারা তিনজন ক্লাসে চলে গেল।
.
.
.
এদিকে আধার নিজের অফিসে বসে কাজ করছে। কিন্তু কিছুতেই তার মন কাজে বসছে না চোখের সামনে বারবার রশনির ওই চেহারা ভাসছে।আধারা আর থাকতে না পেরে বেরিয়ে গেল ভার্সিটির উদ্দেশ্যে।
.
.
.
এদিকে রশনিরা তাদের সব ক্লাস করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে এলো। রশনি,রুহি আর রোজ কথা বলতে বলতে হাঁটছে হঠাৎ রুহি কার সাথে যেন ঢাক্কা খেল, আর ঢাক্কা খেয়েই ধপাস।(হ্যা পরেই গেছে)
রুহিতো রেগে বোম।সে কিছুক্ষণ সামনে থাকা ছেলেটির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ছেলেটির সামনে আঙ্গুল তুলে বললো
রুহিঃএইযে মি.অন্ধ-খাম্বা চোখ কি বউয়ের কাছে রেখে আসেন?(রেগে)
মি.অন্ধ-খাম্বাঃফার্ষ্ট আমি কোনো এঙ্গেল দিয়েই খাম্বা না।সেকেন্ড খাম্বার চোখ থাকে না।থার্ড আমার বউ নেই অবশ্য আপনি চাইলে হতে পারে।(মুচকি হেসে)
রুহিঃWhat?(রেগে)
মি.অন্ধ-খাম্বাঃনা মানে আপনি চাইলে আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারি তাহলেই তো আমার বউ হয়ে যাবে।(সেই মুচকি হাসির সাথে)
রুহিঃমাথায় কি আপনার সমস্যা চিনেন না জানেন না আর বিয়ের কথা বলছেন।(প্রচন্ড রেগে)
মি.অন্ধ-খাম্বাঃও তো এই ব্যাপার তো চলো চেনাজানাও হয়ে যাক।আমার নাম আজান রেজওয়ান।আমি এই ভার্সিটির লাস্ট ইয়ারের পড়ি।আমার বাবার নাম আহনাফ রেজওয়ান আর আমার মার নাম মেহেক রেজওয়ান ।এই বিডির টপ10 বিজনেসম্যানদের মধ্যে আমার বাবা একজন আর মা গৃহীনি।আমাদের কোম্পানির নাম রেজওয়ান গ্রুপ এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।আমার বাসা গুলশানের********।আমর ফোন নাম্বার ০১*********৫।তো এখন বলো আরও কিছু জানতে চাও।(ভ্রু দুটি কুচকে)
(রশনি আর রোজ ওদের দিকে হা করে তাকিয়ে ওদের ঝগড়া দেখছে।)
রুহিঃআপনি কি পাগল।আর আমি আপনার সম্পর্কে কিছু জানতে চাই নি।
আযানঃনা মানে তুমি না বললে বিয়ে করতে হলে একে অপরকে জানতে হয় তাই। তা তোমার নাম?(দাঁত কেলিয়ে)
রুহিঃআসলেই পাগল।
এই বলে রুহি আযানকে কিছু না বলতে দিয়ে সেখান থেকে হনহন করে চলে গেল।আযান রুহির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসলো তারপর সেও চলে গেল সেখান থেকে।
রশনি আর রোজ ওদের যাওয়ার দিকে একবার তাকিয়ে আবার একে-অপরের মুখের দিকে অসহায়ভাবে তাকাল।
রোজঃএইটা কি হলো লাইট কে এভাবে আমাদের আত্মার সাথে কথা বললোরে?
রশনিঃসেটাই তো আমার প্রশ্ন আর ছেলেটাও কি আজব ছিল।কে এই ছেলে?
রোজঃআমারও তো একই প্রশ্ন।
রশনিঃহুমম।চল আগে যেয়ে আত্মাকে খুজি মেয়েটা আবার কই চলে গেল রেগে কে জানে।
এই বলে দুইজন রুহিকে খুজতে লাগল।খুজতে খুজতে রুহিকে ক্যান্টিনে পাওয়া গেল।রোজা আর রশনি গিয়ে রুহির সামনে চেয়ার টেনে বসলো।
রোজঃকিরে আত্মা কে এই ছেলেটা যে এভাবে তোর সাথে কথা বলল।
রুহিঃআমি কি জানি।(দাঁতে দাঁত চেপে)
রোজঃতাও ঠিক।কিন্তু ছেলেটা কিন্তু দেখতে হেব্বি।শুধু আমার মতো চশমিশ।
রুহি রেগে গেল।
রোজ অবাক হল।
রশনি রোজকে খোঁচা দিয়ে বললো
রশনিঃএই গোলাপ আজে বাজে কথা বন্ধ করতো দেখছিস না আবহাওয়া খারাপ।(রুহিকে উদ্দেশ্য করে)
আব রুহি থাক না হবে কোন আজেবাজে ছেলে।তোর সাথে ফ্লার্ট করছে।
রুহিঃহুমম।
রশনিঃচল ক্যান্টিনে যেহেতু আছি কিছু খাওয়া যাক।
রোজঃআসলেই অনেক খিদে পেয়েছে।
রুহিঃok চল।
তারপর তারা তাদের খাবার অর্ডার দিল এবং খেয়ে নিল।খাওয়া শেষে তিনজন বেরিয়ে গেল বাসার উদ্দেশ্যে।
.
.
.
আজানঃতোমার রাগের উপর তো আমি ফিদা মাই "Sweetheart"। জানো তুমি যখন রেগে ছিলে তোমার গাল দুটো পুরো টোমেটোর মতো লাল হয়ে গিয়েছিল...মন চাচ্ছিল খেয়ে ফেলি।আজ তোমাকে আমি প্রথম দেখছি আর আজই crush খেয়েছি।কিন্তু তুমি যা রাগী তোমাকে পটাতে কষ্ট আছে।
.
.
.
আধার রশনির ভার্সিটির সামনে গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কিছুক্ষণ পর দেখে রশনি দুইটা মেয়ের সাথে বের হচ্ছে।আধার রশনি আর ওই দুইটা মেয়ের একটা ছবি তুলে আবার গাড়িতে বসে পরলো।তারপর কাকে যেন কল দিল।
আধারঃহ্যালো 'জিসান' তোমাকে একটা ছবি সেন্ড করেছি ওইটার মাঝখানের মেয়েটার সব ডিটেলস চাই।
জিসানঃওকে বস।
তারপর আধার কলটা কেটে বাঁকা হাসি দিয়ে আবার গাড়ি ঘুরিয়ে অফিসে চলে গেল।
প্রায় দু'ঘণ্টা পর আধারের মোবাইলে কল এলো।
জিসানঃহ্যালো বস মেয়েটার নাম রশনি আহমেদ বাবার নাম তুহিন আহমেদ।মার নাম শানু আহমেদ। বাবা চাকরিজীবী আর মা গৃহিণী। মূলত মিডেল ক্লাস ফ্যামিলি থেকে বিলং করে।মেয়েটার বাসা ঢাকার*****।মেয়েটার ফোন নাম্বার 01*******1।বাবার নাম্বারে 01******7 মার নাম্বার 01*******6।মেয়েটা ওর বাবা মার সাথে থাকে মেয়েটা একাই আর কোন ভাই বোন নেই।
আধারঃOk.Good job.
এই বলে আধার কলটা কেটে দিলো।
আধারঃরশনি উমম নাইস নেম।
আধার বাঁকা হেসে আাবার নিজের কাছে চলে গেল।
#To_be_continued......