Mahjabin Ahamad

Drama Romance Thriller

2  

Mahjabin Ahamad

Drama Romance Thriller

#Forced_Love #Dangerous_Love #Writer_Mahjabin_Ahamad #Part_2

#Forced_Love #Dangerous_Love #Writer_Mahjabin_Ahamad #Part_2

3 mins
165


.

.

.

.

.

এদিকে রশনি বাসায় এসে কলিং বেল বাজাতেই রশনির মা এসে দরজা খুলে দেয়। 

রশনির মাঃএসে পরেছিস।যা তারাতাড়ি গিয়ে ফ্রেস হয়ে আয়।

রশনিঃহুমম যাচ্ছি।তুমি খাবার দেও। 

এই বলে রশনি উপরে চলে যায়।কাবার্ড থেকে একটা নীল আর আকাশি মিক্স সেলোয়ার-কামিজ বের করে ওয়াসরুমে চলে যায়। ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলগুলো মুছে নিল। তারপর নিচে চলে গেল খাবার খেতে। 

খাবার খেয়ে রশনি নিজের রুমে এসে ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পরে আর ভাবতে থাকে আগের কথা।কিভাবে তার জীবনে আধারের প্রবেশ হয়।


         1 years ago


রশনির মাঃরশনি ওঠ আর কতো ঘুমাবি।তোর না আজকে ফার্স্ট দিন ভার্সিটিতে।

রশনিঃআর ৫মিনিট মা।(ঘুমার্থ কণ্ঠে)

রশনির মাঃঠিক আছে কিন্তু ৯ঃ০০ বাজে। 

রশনিঃকিইইইই।(ধড়ফড়িয়ে উঠে) 

রশনির মাঃজ্বীইইইই।

রশনিঃউফফ মা তুমি আমাকে আগে ডাক দিবা না।(কাবার্ড থেকে জামা-কাপড় বের করতে করতে) 

রশনির মাঃমেয়ের কথা শোনো ১৫মিনিট ধরে ডাকছি তোকে আর তুই ৫মিনিট,৫মিনিট করছিস। 

রশনিঃধ্যাত লেট হয়ে গেল। (এই বলেই ওয়াশরুমে ঢুকে গেল) 

রশনির মাঃপাগলি একটা। (এই বলে রশনির মা নিচে চলে গেল) 

১৫মিনিট পর রশনি একটা , অফ হোয়াইট লং স্কার্ট, বেবি পিংক লেডিস শার্ট আর অফ হোয়াইট স্কার্ফ গলায় ঝুলিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়।ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলগুলো মুছে ব্রাশ করে ছেড়ে দিল।তারপর চোখে কাজল আর ঠোঁটে তার পছন্দের মিষ্টি কালারের লিপস্টিক লাগিয়ে নিল।ব্যস রেডি হয়ে গেল। 

রশনি তারাতাড়ি নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নিচে দৌড়।নিচে এসে টেবিলে বসে রশনি নিজের মাকে ডাকতে থাকে। 

রশনিঃমা তারাতারি খাবার দেও এভাবেই লেট হয়ে গেল। 

রশনির মাঃউফ দিচ্ছি তো।(রান্নাঘর থেকে আসতে আসতে) 

রশনির মা এসে টেবিলে খাবার সার্ভ করে দিতেই রশনি তারাতাড়ি খেতে লাগলো। 

রশনির বাবাঃরশনি আসতে খাও নাহয় খাবার গলায় আটকে যাবে। 

রশনিঃবাবা এভাবেই অন্নেক লেট হয়ে গিয়েছে এখন কচ্ছপ গতিতে খেলে আরও লেট হয়ে যাবে। 

এই বলে রশনি তারাতাড়ি খাবার খেয়ে নিল।

রশনির বাবাঃআমি তোমাকে ড্রপ করে দিব?

রশনিঃনা বাবা আমি যেতে পারব plz।

রশনির বাবাঃOkkky আল্লাহ হাফেজ।(দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে) 

রশনিঃThank you.আল্লাহ হাফেজ। 

রশনিঃমা আমি বের হলাম।আল্লাহ হাফেজ। 

রশনির মাঃসাবধানে যাস।

রশনিঃহুমমম।

এই বলে রশনি বেরিয়ে গেল।রশনি রাস্তায় এসে দাঁড়ায়।কিন্তু কোন রিকশাই পাচ্ছে না।তাই রশনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজেই বকবক করতে থাকে।

রশনিঃধ্যাত যখন দরকার হয় তখনই এই রিকশা আর রিকশাওয়ালা হাওয়া হয়ে যায়।আমি বলি এরা যায় কই হাহ।আমার মন চাচ্ছে এদের গাছে উল্টো ঝুলিয়ে মারতে।

এই বলে রশনি রিকশা আর রিকশা- ওয়ালাদের কয়েক শ গালাগাল দিতে থাকে। 

রশনিঃউফফ আল্লাহ প্লিজ হেল্প করে দেও।আজ ফার্স্ট ডে তে লেট হলে এ্যাাা।

রশনি কাদোকাদো মুখ করে এদিকে ওদিকে তাকাতে থাকে। রশনি তাকিয়ে দেখে তার ডান পাশ থেকে একটা গাড়ি আসছে।রশনি কিছু না ভেবেই গাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়ে পরে।রশনি সামনে তাকিয়ে দেখে গাড়িটা অনেক কাছে এসে পরেছে। রশনি চোখ-মুখ কুঁচকে দুই হাত মুখের সামনে নিয়ে এসে ভাজ করে আনে।কতক্ষণ পরও যখন কোন ব্যাথা অনুভব হয় না তখন সে আসতে আসতে চোখ খুলে।সে তাকিয়ে দেখে তার একটু দুরে

গাড়িটা এসে থামে।একটুর জন্য তার উপরে ওঠেনি।গাড়ি থেকে একটা ছেলে বেরিয়ে আসে। ছেলেটা একটা হোয়াইট টি-শার্ট,ব্লাক ল্যাদার জ্যাকেট,ব্লাক ডেনিম জিন্স,হোয়াইট এন্ড ব্লাক স্নিকার্স পরা।ছেলেটি রশনির সামনে এসে দাড়ায়।

অজানাঃWhat the helll.মরার ইচ্ছে থাকলে অন্য কোথায় যেয়ে মরুন আমার গাড়ির নিচে কেন মরতে এসেছেন।

রশনিঃ(আমার সাথে The cuuute Rosni র সাথে এভাবে কথা বলছে একে তো গাছের সাথে উল্টো ঝুলিয়ে মারা উচিত।নাহ রশনি এখন তোর ভার্সিটি যেতে হবে। শান্ত cool,cool.)রশনি নিজের মনে মনে ভাবছে। 

অজানাঃOh hello কি ভাবছেন।

রশনিঃআসলে না আমাকে ভার্সিটি যেতে হবে কিন্তু একটা কিছুও পাচ্ছি না।প্লিজ একটু ড্রপ করে দিবেন প্লিজ,প্লিজ,প্লিজ।(বাচ্চাদের মতো করে বললো)

অজানাঃ(আধারের অনেক হাসি পাচ্ছে রশনির ফেস দেখে কিন্তু হাসি থামিয়ে বললো) okay(বিরক্তিকর ভাব নিয়ে)। 

(হ্যা এই অজানা আর কেউ নয় আধারই)

রশনিঃThank you so much.(মনে মনে হুহ কি ভাব)

আধার ড্রাইবিং সিটে বসল আর রশনি পাশের সিটে।আধার রশনির দিকে একবার তাকিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিল।

আধারঃকোন ভার্সিটি যাবেন।

রশনিঃঢাকা ভার্সিটি।

আধারঃok

তারপর আর কোন কথা হয়নি দুইজনের মধ্যে। কিছুক্ষণ পর তারা ভার্সিটি পৌঁছে গেল। 

রশনি নেমে তারাতাড়ি চলে যেতে নিয়ে আবার পিছনে ফিরে বললো

রশনিঃThanks mr.আকরু।

বলেই দৌড়ে চলে গেল। 

এদিকে আধার 'থ' মেরে দাঁড়িয়ে আছে। কতক্ষণ পর যখন আধার বুঝতে পারল রশনি কি বলেছে তখন ফিক করে হেসে দিল।হেসে সেও নিজের গন্তব্যে চলে গেল। 



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama