মনের মাঝি
মনের মাঝি
ভেলার মধ্যে বোঝাই করে গুটিকতক আশা, মনের মাঝি দাঁড়িয়ে প্রেম নদীর তীরে; মনের মাঝি লোহার দন্ডে বাঁধিয়া পাল করছে কোনো আপনজনের অপেক্ষা:
মনের মাঝিকে দিয়েছে প্রতিশ্রুতি,
সেইজন -নব রংয়ে রংয়ার; প্রতিশ্রুতি প্রহরের পর প্রহর কচি হয়ে যাচ্ছে, দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন ভাবছে সেইজনের মোহিত চেহেরাটি.
বাওয়ের আগমনে সূক্ষ্ম বালি যায় উড়ে সেই জনের আসনে; তুরিত মনের মাঝি নিজের জীবনের সম্ভবত শেষ জামা দিয়ে মুছে সেই আসনে; মনের মাঝির চোখ দুটি চেয়ে আছে সেই দিকে,
দিন পেরোনোর সাথে সাথে মনের মাঝি নেশাগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছে; মনের মাঝির এই রূপ দেখে প্রাকৃতিও যেন নিজের ভঙ্গিতে কিছু কইতে চাই;
আজ প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজেছে- চারিদিকে মিষ্টি বাতাস ফুরফুর করে বইছে- আকাশে গুটিকতক মেঘ পরস্পরের সঙ্গে আড্ডা মারতেছে- নদীর মৃদু স্রোতে পদ্মফুল নৃত্য করছে- অপূর্ব সাজকে আরো অপূর্ব করেছে, মনের মাঝির সুশ্রাব্য সুর; এমন সময় ঘটলো এক অপ্রত্যাশিত আগমন সেই কল্পনার নারীর! কিন্তু এখন সে একা কোথায়! পেয়েছে চিরতরের সঙ্গী.
মনের মাঝির চোখে চোখ মিলায় সেই জন, মনের মাঝির ও ব্যতিক্রম ঘটেনি; কিন্তু মনের মাঝি দেখতে পাই- তাহার চোখে ভাসছে অন্য কোন জনার চেহেরা; মনের মাঝির অচিন পাখি এমন উপলব্ধি করে যেনো পাড়ি দিতে চাইছে খোদার ঘরে!
