"মহাজনের বিসর্জন"
"মহাজনের বিসর্জন"
তিন বছরের ছোট্ট ছেলে
নামটি তাহার সজল,
সেই সময়ে মারা গেল
তার বাবা কাজল.
ধার নিয়েছিল মহাজনের কাছে
টাকা কয়েক শত,
টাকাগুলো শোধ করতে
তার মা হলো ব্যস্ত .
কিন্তু টাকা না পেয়ে
মায়ের খারাপ মন,
মহাজনের হাতে চলে গেল
সম্পত্তির পুরো ধন.
সম্পত্তি না থাকায়
তারা হল ভিখারি,
মা বলে ছেলেকে নিয়ে
আমি এখন কি করি.
মা গেল ছেলেকে নিয়ে
মহাজনের কাছে,
বলে,ওই টুকুতো ছিল আমার
আর কি বা আছে ?
দয়া করে ফিরিয়ে দিন
করি জীবন যাপন,
ছেলেটা ছাড়া আমার,
কেউ তো নেই আপন .
নিষ্ঠুর এই মহাজনটি
তাড়িয়ে দিল মাকে,
বলে দিলেন আর কোনদিন
যেন না দেখি তোকে.
ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে
মা ছাড়লাম ঘর,
সম্পত্তি না থাকায়
সবাই হলো পর.
মা আর বেশিদিন
থাকলো না সুস্থ,
মনের দুঃখে ঘুরে ঘুরে
মা হলেন অসুস্থ.
একদিন হঠাৎ করে
সজলের মা গেল মারা !
সজন এখন মাতৃ শোকে,
হল মাতৃহারা .
প্রতিশোধের আগুন চাপলো
সজলের মাথায়,
মহাজন যেন আর কাউকে
এমন না ঠকায়.
পঁচিশ বছর বয়সে সজল
ফিরল হঠাৎ গ্রামে,
ফিরে দেখে মরছে প্রজা
মহাজন আছে আরামে .
পাওনার চেয়ে দ্বিগুণ নিচ্ছে
মুখ বন্ধ প্রজাদের,
তারা বলে করবো কি ?
নেতা নেই আমাদের.
সজলের নেতৃত্বে গড়ে উঠলো
বৃহৎ প্রজা আন্দোলন,
ভয়ে এবার উঠলো কেঁপে
সেই গ্রামের মহাজন.
লাঠি,ছুরি নিয়ে সবাই
গেল মহাজনের বাড়ি,
বাগান দুটো নষ্ট করল
ভাঙ্গলো নতুন গাড়ি.
ধরল সবাই মহাজনকে
মারলো যেমন খুশি,
চড় মারলো, লাথি মারলো
মারলো পেটে ঘুষি.
ক্ষুব্ধ প্রজা লুট করল
মহাজনের সম্পদ,
গ্রাম থেকে মুছে গেল
'মহাজন' নামক আপদ.
