কুহু ডাকা বিভ্রম
কুহু ডাকা বিভ্রম


(ক)
তোমার মুখায়ব আঁকতে গিয়ে
কবির নিদারুন অক্ষমতা স্পষ্ট হলো,
তোমাকে পূর্ণতা দেয়ার সাধ্য
স্বয়ং বিধাতার রয়েছে কিনা জানি না।
সূর্যান্তের আগেই গৌধুলী পথে
এসেছিলে তুমি ধূপের গন্ধে দেবীর আসনে
অষ্টপ্রহর ভুবনেশ্বর জেগে আছে দিবাযামি।
(খ)
সেদিন বকুল তলায় দেখলাম
বকুল ফুটতে শুরু করেছে
কিন্তু অনেক দিনের পুরোনো গাছটার
অনেক ঢালপালা শুকিয়ে মরেই গেছে।
গাছের তলে বকুল কুড়াতে গিয়ে দেখি
সামান্য কটা বকুল মিলল ।
মৃত মোটা ঢালগুলোর কোল ঘেষে
কটা নতুন ঢালে ফুটেছে এ কটা ফুল।
এভাবেই বুঝি মরে যায় কতো স্মৃতিরা
আবার নতুন ঢালে নতুন স্বপ্ন জাগে ?
(গ)
মুছে গেছে কোলাহল ভুমিষ্ঠ শিশুর কান্নায়
ভাঙ্গে রাতের আঁধার কুহু ডাকা
বিভ্রমের শারদীয় রাত্রী,
উঁইপোকার ঢিবি যেন বুকের খাঁচা জুড়ে
বোবা কান্না থামে না কেন যেমন থামে না
শরৎের মেঘপুঞ্জ।
কাশফুল, তুলোমেঘ,
সবি শুধু ধোঁয়াশা আজ।